তারকা ফুটবলারদের গাড়ি নিয়ে বিলাসিতা নতুন কিছু নয়। করিম বেনজেমা, লিওনেল মেসি, জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ, জন টেরিদের রয়েছে বিলাসবহুল গাড়ির শখ। সময়ের অন্যতম সেরা মহাতারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোও তার ব্যতিক্রম নন। কয়েকদিন পরপরই নিজের সংগ্রহে অত্যন্ত বিলাসবহুল নতুন নতুন গাড়ি সংযোজন করে থাকেন তিনি।

জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ফোর্বসের সবচেয়ে বেশি বেতনপ্রাপ্ত খেলোয়াড়দের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন সিআর সেভেন। নিজের সংগ্রহের তালিকাটা এবার আরো বড় করলেন বিলাসবহুল গাড়ি তৈরির জন্য বিখ্যাত ব্রিটিশ কোম্পানি বেন্টলির প্রস্তুতকৃত ‘বেন্টলি ফ্লাইয়িং স্পার্স’ দিয়ে। বাংলাদেশি টাকায় এই গাড়িটির মূল্য ২ কোটি ৫০ লাখ টাকার কিছু বেশি।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে পরাজিত হয়ে কারাবাও কাপ থেকে ছিটকে যায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তার পরদিন এই গাড়িটি চালিয়ে অনুশীলনে যাওয়ার সময় পাপ্পারাজিদের ক্যামেরায় ধরা পড়েন রোনালদো। ওই ম্যাচে মূল স্কোয়াডে না থাকা পর্তুগিজ মহাতারকা বেশ গম্ভীর ভঙ্গিমাতেই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন।

বিশ্বের অন্যতম ধনী এই ফুটবলার একা যাবেন অনুশীলনে তা কি করে হয়? পিছনে ছিল রেঞ্জ রোভারের তৈরি তারই সংগ্রহের আরেকটি বিলাসবহুল এসইউভি (স্পোর্ট ইউটিলিটি ভেহিকেল)। এতে বসা ছিলেন রোনালদোর দুইজন ব্যক্তিগত দেহরক্ষী।  

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে বেন্টলি বাজারে আনে তাদের তৃতীয় প্রজন্মের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও উন্নত ডিজাইন সম্বলিত গাড়ি বেন্টলি ফ্লাইং স্পার্স। গাড়িটিতে ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক ৬ লিটার ডব্লিউ-১২ বাইটার্বো ইঞ্জিন। গাড়িটি ৪ সেকেন্ডেরও কম সময়ে ১০০ কি.মি./ঘন্টা গতি তুলতে সক্ষম। প্রায় ৬০০০ সিসির এই গাড়িটি প্রতি ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৩১৮ কি.মি. গতি তুলতে সক্ষম।

রোনালদোর বিলাসবহুল গাড়ির সংগ্রহে রয়েছে ফেরারি, ল্যাম্বরগিনি, বুগাট্টি, ম্যাকলারেন, পোরসে, মার্সিটিজ, অডি, রেঞ্জ রোভারের মত গাড়িও। চলতি বছরের আগস্টেও তিনি আলোচনায় এসেছিলেন বিশেষভাবে প্রস্তুতকৃত একটি দারুণ ‘মার্সিটিজ জি ক্লাস’ নিয়ে। 

এআইএ/এটি