কয়েক ঘণ্টা পরই ফুটসাল বিশ্বকাপে পর্তুগালের বিপক্ষে মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা। ২০১৬ সালে বিশ্বকাপ জেতার পর এখন তাদের লক্ষ্য শিরোপা ধরে রাখা। নিজেদের ইতিহাসের প্রথম ফুটসাল বিশ্বকাপ আর্জেন্টিনা জিতেছিল কোচ ডিয়েগো গুইটোজ্জির অধীনে। এবারের বিশ্বকাপ ফাইনালও গ্যালারিতে বসে দেখবেন তিনি। 

বর্তমান কোচ মাতিয়াস লুকুইক্সের সঙ্গেও দারুণ সম্পর্ক গুইটোজ্জির। তাকে নাকি আরও পাঁচ বছর আগেই বিশ্বকাপ জিতবেন, এমন ভরসা দিয়েছিলেন গুইটোজ্জি। ফিফা ডট কমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেসব স্মৃতিচারণ করেছেন বিশ্বকাপজয়ী এই কোচ।

তিনি বলেছেন, ‘মাতিয়াস আমাকে বলেছিল আমি তাকে খুব দুরবস্থার মধ্যে রেখে যাচ্ছি। কারণ আমার অবস্থানটা অনেক উপরে, সেটা তাকেও ছুঁতে হবে। আমি তাকে বলেছি, শান্ত হও, তুমি আর্জেন্টিনাকে আবারও বিশ্বকাপ জেতাবে। আমাদের মধ্যে এই কথোপকথন হয়েছে আরও পাঁচ বছর আগে, গত বছরও এমন কথা হয়েছে।’ 

কোচিংয়ের দীক্ষাও মাতিয়াসকে দিয়েছিলেন গুইটোজ্জি। সেসব স্মৃতি খুঁজতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমার মনে আছে সবকিছু কীভাবে শুরু হয়েছিল- আমি তাকে দেখিয়েছিলাম বই, কম্পিউটার আর হোয়াইট বোর্ডই কোচিংয়ের মূল বিষয় না; এটা আসলে হৃদয়ের বিষয়।’

ডানে ডিয়েগো গুইটোজ্জি।

ফুটসলের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল দল ব্রাজিল। তাদের সেমিফাইনালে হারিয়ে এবারের বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠেছে আর্জেন্টিনা।  ব্রাজিলকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল তারা। এই ম্যাচ জয়ের নেপথ্য কারণও বলেছেন ‍গুইটোজ্জি। আত্মবিশ্বাসই মূল ভূমিকা রেখেছিল বলে মনে করেন এই আর্জেন্টাইন।

তিনি বলেছেন, ‘ঠাণ্ডা মাথায় সবকিছু সামলানোর ক্ষমতা আছে আর্জেন্টিনার। যতটা সম্ভব তাদের বিপক্ষে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করেছি। আমরা আমাদের সীমাবদ্ধতাগুলো জানি এবং আমরা মাথা নত করে রাখি। দারুণ একটা ম্যাচ হয়েছে। আমরা বিশ্বাস রেখেছি যে জিততে পারি। ব্রাজিলকে হারানো সহজ কথা না, কিন্তু আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম।’

ফাইনালের প্রতিপক্ষ পর্তুগাল নিয়ে বলেছেন, ‘তারা পৃথিবীর অন্যতম সেরা দল, ফুটসল বিশ্বকাপ ও উয়েফা চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপার সবসময়ের দাবিদার। পর্তুগিজ লিগ তাদের মান এগিয়ে নিতে সাহায্য করেছে। এবার তারা সাফল্য পেয়েছে, তাদের জন্য এই পরিস্থিতিটা সহজ।’

জয়ের জন্য সেরাটাই দিতে হবে বলে মনে করেন গুইটোজ্জি, ‘তাদের অনেক কোয়ালেটি ফুটবলার আছে,  টেকটিক্যাল জ্ঞান আছে, এই ধরনের কঠিন পরিস্থিতি সামলানোর সামর্থ্য আছে। আমাদের নিজেদের সেরাটা দিতে হবে, কিন্তু আমরা জানি কীভাবে প্রতিপক্ষের বিপক্ষে মানিয়ে নিতে হয়।’

এমএইচ