অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে গোলের পর মেসি/ফাইল ছবি

এই তো, গেল মৌসুমের আগেও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের কাছে বার্সেলোনা ছিল রীতিমতো অভেদ্য দুর্গ। সেই অ্যাটলেটিকোই কিনা বার্সেলোনাকে হারিয়েছে ২-০ গোলে। খেলার ধরনেও ছিল বিস্তর ফারাক। একসময় অ্যাটলেটিকোর কাছে অজেয় বার্সাই যে লা লিগার সর্বশেষ লড়াইয়ে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়তে পারেনি কোচ ডিয়েগো সিমিওনের দলের সামনে!

সিমিওনের দলের কাছে বার্সেলোনাকে হারানো ছিল অসাধ্য সাধনের মতো। কাতালানদের বিপক্ষে যে টানা ২০ ম্যাচে জয়শূন্য ছিল রোহিব্ল্যাঙ্কোরা। সেই বার্সাকেই গেল মৌসুমের প্রথম লড়াইয়ে অ্যাটলেটিকো হারায় ১-০ গোলে। পরের লড়াইটা শেষ হয়েছে গোলশূন্যতায়। এবার সাবেক বার্সা ফরোয়ার্ড লুই সুয়ারেজের গোল, অ্যাসিস্টে ব্লাউগ্রানাদের বিপক্ষে ২-০ গোলের বড় জয়ই তুলে নিয়েছে সিমিওনের শিষ্যরা। 

এর ফলে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচ ধরে জয়শূন্য থাকল কোম্যানের দল। তবে শনিবার রাতের সবশেষ সেই লড়াইয়ে বার্সা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে চেয়েছিল বলের দখল নিয়ে। ৭০ শতাংশ সময় তাদেরই দখলে ছিল বল। কিন্তু সৃষ্টি করা সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারেনি দলটি। ৯ শটের মাত্র দুটো গেছে প্রতিপক্ষ গোলবারে। যাতে একজন জাত গোলস্কোরারের অভাবটা ফুটে উঠছে ভালোভাবেই। 

যার অভাব অনুভূত হচ্ছে, সেই মেসিকেই তো চলতি মৌসুমের শুরুতে দলে রাখতে পারেনি বার্সা। কোচ সিমিওনে অন্তত মনে করছেন সে বিষয়ই। কেনই বা মনে করবেন না? তার অ্যাটলেটিকোর বিপক্ষে যে মেসির গোলসংখ্যা ৩০ ম্যাচে ২৬টি।

সিমিওনের মনে হচ্ছে, আগের সব বার্সা অ্যাটলেটিকো ম্যাচে মেসিই গড়ে দিতেন পার্থক্য। বললেন, ‘মেসি ছাড়া এই প্রথম বার্সার বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলাম। অন্যান্য ম্যাচের সঙ্গে এই ম্যাচের খুব একটা পার্থক্য নেই। তবে এখানে এখন মেসি নেই, এটা অনেক বড় পার্থক্য।’

বার্সার বিপক্ষে এমন জয়ের পর লা লিগার শীর্ষ দুইয়ে উঠে এসেছে অ্যাটলেটিকো। ৮ ম্যাচে ৫ জয়, দুই ড্র ও একটি হারের পর তাদের সংগ্রহ ১৭ পয়েন্ট। এক ম্যাচ কম খেলে রিয়ালের সংগ্রহ ১৭ পয়েন্ট, তারা আছে শীর্ষে। 

এনইউ/এটি