প্রথম ম্যাচে গোল পেয়েছেন তপু (ডানে), দ্বিতীয় ম্যাচে ইয়াসিন (বামে), তাদের দেখানো পথ ধরে তৃতীয় ম্যাচে গোল চান মতিন মিয়া (মাঝে)/বাফুফে

সাফে দুই ম্যাচে বাংলাদেশের দুই গোল। দুটি গোলই করছেন ডিফেন্ডার তপু বর্মণ ও ইয়াসিন আরাফাত। দলে একাধিক ফরোয়ার্ড রয়েছেন। তারা কেউ গোলের দেখা পাননি। আগামী ম্যাচ মালদ্বীপের বিপক্ষে গোল করার চ্যালেঞ্জ নিলেন ফরোয়ার্ড মতিন মিয়া, ‘ফরোয়ার্ডরা গোল করবে ঠিক আছে, দলের ১১ জনের যে কেউ গোলের সুযোগ পেলে করতে পারে। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি গোলের।’

আলী আশফাক, আলী ফাসিরের মতো ফরোয়ার্ড রয়েছে স্বাগতিক মালদ্বীপের। সেই তুলনায় স্বাগতিকদের রক্ষণ একটু দুর্বল। বাংলাদেশ দলের ফরোয়ার্ড মতিন মিয়া সেই দুর্বলতাকে কাজে লাগাতে চান, ‘নেপালের বিরুদ্ধে তাদের খেলা দেখেছি। আক্রমণে তাদের সক্ষমতা থাকলেও রক্ষণে কিছুটা দুর্বলতা রয়েছে। আমরা সেই দুর্বলতা কাজে লাগাতে চাই।’

বাংলাদেশের ফরোয়ার্ডরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গোল অনেকটা অনিয়মিত। এই বছর জাতীয় দল ছয়টি গোল করেছে। ছয় গোলের চারটিই ডিফেন্ডারদের । মার্চে নেপালে আমন্ত্রণমূলক টুর্নামেন্টের ফাইনালে মাহবুবুর রহমান সুফিল একটি ও গত মাসে কিরগিজস্তানে সুমন রেজা একটি গোল করেন। সতীর্থরা এবং ডিফেন্ডাররা গোল পাওয়ায় খানিকটা চাপে। এই সাফে নিজেকে চাপমুক্ত করতে চান মতিন, ‘ডিফেন্ডাররা গোল করলেও সেটা আমাদের জন্য অনুপ্রেরণামূলক। তারা গত দুই ম্যাচ গোল করেছে। এবার আমাদের কিছু করতে হবে।’ 

মতিন মিয়া বসুন্ধরা কিংসের হয়ে খেলেন। কিংসের কোচ অস্কার ব্রুজন এখন জাতীয় দলের দায়িত্বে। অস্কার দায়িত্ব নেয়ায় আরো একটু স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে পারছেন বলে জানালেন মতিন, ‘কোচ যে নির্দেশনা দিচ্ছেন সেটা মানার চেষ্টা করছি। হয়তো সম্পূর্ণ শতভাগ হচ্ছে না। এখন যে পজিশনে খেলতেছি সেটা আমি উপভোগ করছি এবং ভালোও করছি।’

মতিন মিয়া শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বদলি হিসেবে খেলেছিলেন। গত ম্যাচে সুমন রেজার পরিবর্তে মতিনকে একাদশে সুযোগ দেন অস্কার। মতিন ভারতের অর্ধে বল দখল করে কয়েকবার বক্সে প্রবেশ করেছেন। নিজে গোল না করতে পারলেও গোলের সুযোগ সৃষ্টিতে সহায়তা করেছিলেন গত ম্যাচে। মালদ্বীপ ম্যাচে কেমন করেন সেটাই দেখার বিষয়। 

এজেড/এটি