বার্সেলোনাকে বেতন কাঠামোর একটা সীমা বেধে দিয়েছিল লা লিগা কর্তৃপক্ষ। যে কারণে ক্লাব থেকে সবচেয়ে বেশি বেতন নেওয়া লিওনেল মেসির বার্সায় থাকা আর সম্ভবই হয়নি। শোনা যাচ্ছিল, মেসি ফ্রিতেও রাখা সম্ভব ছিল না দলটির। কিন্তু এবার সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা জানালেন, তার শৈশব-কৈশোরের ক্লাব বার্সেলোনায় থেকে যাওয়ার শেষ চেষ্টা হিসেবে মেসি সে প্রস্তাবটা দেবেন, সেটা আশা করছিলেন তিনি!

তবে মেসি সেটা করেননি। সেজন্যে তার কোনো খেদও নেই লাপোর্তার। সম্প্রতি আরএসি ওয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বললেন, ‘আমি তাকে ভালোবাসি, তার ওপর এ কারণে রাগ করতে পারি না। কিন্তু এমন সময় আসে যখন আপনি এমন কিছু হতে দেখেন, যা আপাতদৃষ্টিতে স্রেফ অসম্ভব বলে মনে হয়। সেজন্যে দুই পক্ষেই হতাশা ছিল।’

মেসি বার্সেলোনাতে থাকতে চাইলেও পিএসজির দেওয়া প্রস্তাবে তিনি দোটানায় ছিলেন, মনে করেন লাপোর্তা। তার কথা, ‘সে থাকতে চেয়েছিল, তবে পিএসজি তাকে যে প্রস্তাব দিয়েছিল, তাতে তার ওপর একটা চাপও ছিল। সে জানত যদি সে এখানে না থাকে, তাহলে পিএসজিতে যাবে।’

মেসির হাতে যে বড় প্রস্তাব আছে, সেটা আগে থেকেই জানত কর্তৃপক্ষ; জানালেন লাপোর্তা। বললেন, ‘বার্সেলোনার ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় হিসেবেই তার নাম লেখা থাকবে, আর তা অটুট থাকুক, আমি সেটা চাই। সবকিছুই ইঙ্গিত দিচ্ছিল, তার হাতে বার্সেলোনা ছাড়ার আগেই পিএসজির প্রস্তাব ছিল। আমরা জানতাম, তার হাতে বড় প্রস্তাব আছে।’

দু’পক্ষই চেয়েছিল সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখতে, মেসিও, বার্সেলোনাও। কিন্তু লা লিগার স্যালারি ক্যাপ, আর বার্সেলোনার বর্তমান আর্থিক দীনতা বিষয়টাকে আর বাস্তব রূপ নিতে দেয়নি। মেসি যদি এসে বলতেন ‘আমি বিনামূল্যে খেলব’, তাহলেও সম্ভব ছিল না। যদিও তা পরে জানা গেছে। তবে বার্সা সভাপতি জানালেন, এমন একটা কিছু তখন আশা করছিলেন তিনি। যদিও মেসি সেটা করেননি।

লাপোর্তা বলেন, ‘সিদ্ধান্তটা নেওয়ার সময় আমি ভেবেছিলাম, বার্সেলোনার জন্য সেরা কাজটাই করছি। আমি আশা করছিলাম, একটা পরিবর্তন আসবে, সে বলবে সে এখানে বেতন ছাড়াই খেলবে। কিন্তু তার মানের একজন খেলোয়াড় এমনটা করবে, সেটা আমরা চাইতে পারি না।’

তবে এরপরও বার্সা আর লাপোর্তার সঙ্গে মেসির সম্পর্কটা এখনো টিকে আছে ভালোভাবেই, দাবি লাপোর্তার। বললেন, ‘আমাদের এখনো একটা ভালো সম্পর্ক আছে। আমি জানি যদি আমরা অর্থনৈতিকভাবে আগের অবস্থানে ফিরে আসি, তাহলে তাকে আমরা ক্ষতিপূরণ দিতাম, কিন্তু পিএসজিতে যে প্রস্তাব তার হাতে ছিল, তাতে আমাদের কিছু চাওয়ার উপায় ছিল না।’

এনইউ