লিওনেল মেসি/ফাইল ছবি

ক্যারিয়ার-সূর্য মধ্যগগনে আছে কি নেই, সেটা একটা আলোচনার বিষয় বটে। তবে ফর্ম যেমনই হোক, আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসির বয়সটা যে থেমে নেই! ৩৪ চলছে এখন, যে সময়ে একটা খারাপ ম্যাচ মানেই ‘ফুরিয়ে এলেন বুঝি?’ শীর্ষক ফিসফাস ভারী হয়ে ওঠে। সেই বয়সেই পিএসজিতে ৫ ম্যাচ খেলে তিনি করেছেন মোটে ১ গোল, তাতে কিছুটা গুঞ্জন তো ওঠারই কথা! 

তবে চিলিয়ান কোচ ম্যানুয়েল পেল্লেগ্রিনির কাছে এসব পরিসংখ্যান গুরুত্ব পাচ্ছে না মোটেও। তার মতে, মেসির যে ফর্ম আর ফিটনেস, তাতে ৩৮ বছর পর্যন্ত অনায়াসেই খেলে যেতে পারবেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি।

কোচিং ক্যারিয়ারে বহুবারই মেসির মুখোমুখি হয়েছে পেল্লেগ্রিনির দল। রিয়াল মাদ্রিদ, মালাগা, ম্যানচেস্টার সিটি, আর সবশেষ রিয়াল বেটিস, তার দলের বিপক্ষে মেসির গোল, আর হারের বিস্বাদ পেয়েছেন সবকটি দলের হয়েই। সাবেক বার্সা অধিনায়ককে তাই ভালোভাবেই দেখেছেন পেল্লেগ্রিনি। 

তবু মাঠের এই লড়াইকে একপাশে রেখে মেসির একগাদা স্তুতিই ঝরে পড়ল চিলিয়ান এই কোচের কণ্ঠে, সঙ্গে শোনা গেল পুরনো দিনের স্মৃতিও। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বললেন, ‘মেসি যে ফুটবল আমাদের উপহার দিয়েছে আমরা সবাই উপভোগ করেছি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সিটির হয়ে তার মুখোমুখি হতে হয়েছিল আমার, স্পেনেও মুখোমুখি হতে হয়েছে, যখন সে তার সেরা ফর্মে ছিল।’

তিনি আরও যোগ করলেন, ‘মেসির সবচেয়ে বড় গুণটা হচ্ছে, তাকে কখনো বশ করা যায় না। সে ৩৮ বছর পর্যন্ত সহজেই খেলে যেতে পারে। সে সবসময় তার মানটা ধরে রেখেছে।’

মেসির সঙ্গে রোনালদোর শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকারেও পিছপা হলেন না সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ কোচ। বিশাল কোচিং ক্যারিয়ারে তো রোনালদোরও কোচিং করিয়েছেন তিনি। যদিও রোনালদোকে নিয়ে তার তারকাখচিত রিয়াল মাদ্রিদ জিততে পারেনি কিছুই। তবে রোনালদো ও মেসি স্প্যানিশ ফুটবলকে দারুণ এক সম্মান এনে দিয়েছে বলে মনে করেন পেল্লেগ্রিনি।

বললেন, ‘মেসি ও রোনালদো স্প্যানিশ ফুটবলকে দশ বছর ধরে বিশাল এক সম্মান উপহার দিয়ে গেছে। আমি কেবল ক্রিশ্চিয়ানোর প্রশংসাই করতে পারি। তবে সবাই যা করে, মেসি না রোনালদো সেরা সে তার উত্তর খোঁজে, সেটা আমার পক্ষে করা সম্ভব নয়।’

এনইউ