৭৮ মিনিটে হঠাৎ মিডফিল্ডার রাকিব হোসেনের লম্বা ব্যাকপাস। রাকিবের সেই ব্যাকপাস অন্য সবার মতো বিস্মিত করেছে সাদ আনিসুর রহমান জিকোকে, ‘রাকিব সাধারণত ব্যাকপাস করে না। ও এটা করবে আমিও ভাবিনি।’ 

রাকিবের লম্বা ব্যাকপাস নেপালের ফরোয়ার্ড ধরে ফেলেছিলেন। জিকো বল সেভ করতে সামনে এসে হাতে বল লাগিয়ে ফেলেন। নিজের লাল কার্ড নিয়ে খুব বেশি অনুশোচনা নেই জাতীয় দলের গোলরক্ষকের, ‘আমি সেভাবে না আটকালে গোল হয়ে যেতে পারত। আমি পা বডি দিয়ে চেষ্টা করেছি ঠেকানোর। আমার হাত শরীরের কাছে রাখতে চেয়েও শেষ পর্যন্ত বল লেগেছে।’ 

৭৮ মিনিটে যখন মাঠ ছাড়েন তখন জিকোর বিশ্বাস ছিল, ‘আমার মন খারাপ ছিল। বাংলাদেশ দল এত দিন পর ফাইনাল খেলবে। আমি খেলতে পারব না। দশ জন হলেও বাংলাদেশ জিতবে এমনটাই মনে করছিলাম।’ 

লাল কার্ড পাওয়ায় ড্রেসিংরুমে চলে যেতে হয়েছিল জিকোকে। ড্রেসিংরুমে থেকে পেনাল্টি দেখতে পাননি জিকো, ‘খেলার সময় আমি দেখতে পারিনি, পরে ভিডিও দেখেছি এটা আসলে পেনাল্টি হয় না। এত ছোটখাটো ইস্যুতে পেনাল্টি দিলে তো ম্যাচে অনেক পেনাল্টি হবে।’

বাংলাদেশের বিপক্ষে পেনাল্টি নিয়ে দেশের সাবেক কয়েকজন ফিফা রেফারির পর্যবেক্ষণ, ‘এটা রেফারিংয়ের ভাষায় আনপপুলার ডিসিশন। রেফারি যেটা করেছেন আইনের মধ্যে থেকে। ডিফেন্ডার সাদ লাফিয়েছিলেন এবং তার হাত নেপালের ফুটবলারের উপর ছিল। রেফারি চাইলে এটা এড়িয়ে যেতে পারতেন। এড়িয়ে গেলে রেফারি এসেসর রেফারিকে কিছু বলতেন না আবার পেনাল্টি দিলেও কিছু বলার নাই।’ 

গত সাফে দক্ষিণ এশিয়ার অনেক রেফারি বাঁশি বাজিয়েছেন। এবার সাফ রেফারির জন্য এএফসির কাছে চিঠি দিয়েছিল। এএফসি এলিট প্যানেলের রেফারি সাফকে দিয়েছে। এলিট রেফারির পরেও এমন সিদ্ধান্ত মিশ্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম নিয়েছে। 

এজেড/এমএইচ