চলতি সাফের প্রাণ বাংলাদেশ কিংবা স্বাগতিক মালদ্বীপ, কেউই নেই কালকের ফাইনালে। সাফের চূড়ান্ত লড়াই তাতে কিছুটা রঙ হারালো বৈকি!

আগামীকাল দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বকাপ খ্যাত সাফের ফাইনাল। আগের দিন আজ মালে স্টেডিয়াম চত্বরে নেই উত্তেজনা। স্বাগতিক মালদ্বীপ ফাইনালে উঠতে পারেনি। শিরোপার মঞ্চে নেই বাংলাদেশও। ফলে টিকিট নিয়ে নেই তেমন চাপ। 

মালদ্বীপ ও বাংলাদেশের মধ্যে কোনে দল ফাইনালে না থাকায় তেমন উত্তাপ নেই। পাঁচ হাজার টিকিটের মধ্যে দুই হাজার সংরক্ষিত স্পন্সর, ক্লাব, সরকার ও বিশেষ ব্যক্তিদের জন্য। ভারত ও নেপালের সমর্থকরা পাবেন দেড় হাজার করে টিকিট। নিজ নিজ দলকে সমর্থন দিতে তারা মাঠে থাকবেন। বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের কিছু দর্শকও থাকবেন। তবে তারা কেবলই ফুটবলের বিনোদন নিতে আসবেন।

লাল কার্ড দেখে আগের ম্যাচে ডাগআউট থেকেই মার্চিং অর্ডার পেয়েছিলেন ভারতীয় কোচ ইগর স্টিমাচ। ফলে ফাইনালেও তাকে ডাগআউটে পাবে না ভারত, একই কারণে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনেও থাকতে পারেননি ভারতের ক্রোয়াট কোচ। তবে তার জায়গায় সম্মেলনে এলেন সহকারী কোচ।

এসেই ফাইনাল নিয়ে দারুণ আশাবাদ ব্যক্ত করলেন তিনি। ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘আমরা ফাইনালের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। আমরা ফাইনালে পৌঁছুতে পেরে খুবই আনন্দিত। ফাইনালে জয়ের ব্যাপারে দারুণ আত্মবিশ্বাসী। আমরা টানা অস্টম ফাইনালে খেলব। এটা একটা ভালো দিক। তবে কাল পুরোপুরিই নতুন একটা ম্যাচ খেলতে নামবো। নতুন লক্ষ্য নিয়ে।’
তবে এই ভারতের ফাইনালে আসা নিয়েই তো সৃষ্টি হয়েছিল শঙ্কা। প্রথম দুই ম্যাচে জয় তুলে নিতে ব্যর্থ হয়েছিল স্টিমাচের শিষ্যরা। ভারতের সহকারী কোচ জানালেন, সেই দুই ম্যাচের ভুলগুলো শুধরেই আজ ফাইনালে তার দল। বললেন, ‘প্রথম দুই ম্যাচের ভুল থেকে আমরা শিক্ষা নিয়েছি। কোচ আমাদের ভুলগুলো নিয়ে কাজ করেছেন। পরের দুই ম্যাচে আমরা তা প্রমাণ করেছি।’ 

নেপালও ফাইনালের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে অপেক্ষায় আছে। গ্রুপ পর্বে নেপালকে হারিয়েছিল ভারত। তবে নেপালের সহকারী কোচ কিরণ শ্রেষ্ঠা বললেন, ‘আমরা অতীতে কী হয়েছে তা ভুলে ফাইনালে খেলতে নামব। পূর্ণ আত্মবিশ্বাস নিয়েই ভারতের মুখোমুখি হবো।’ তবে তিনি স্বীকার করেছেন, ‘ভারত এক কঠিন দল। তাদের মুখোমুখি হওয়া সহজ কাজ নয়। কাল কঠিন এক ম্যাচ অপেক্ষা করছে। তবে আমরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই মাঠে নামব। আমরা আগের ম্যাচগুলো নিয়ে ভাবছি না। কালকের ম্যাচের প্রস্তুতি নিয়ে ভাবছি।’ 

নেপালের অধিনায়ক কিরণ লিম্বু বললেন, ‘আমরা গোর্খা স্পিরিটে ফুটবল খেলতে নামব কাল। দেশের মানুষকে সুখী করতে চাই।’

দুই দলেরই লক্ষ্য সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয় করা। ভারত এ টুর্নামেন্ট জিততে পারলে অস্টমবারের মতো ট্রফি উচিয়ে ধরবে অন্যদিকে নেপালের সামনে প্রথমবার ফাইনালে উঠে প্রথম শিরোপা জয়ের সুযোগ। 

অতীত পরিসংখ্যান এবং বর্তমান ফিফা র‌্যাঙ্কিং, সবকিছুই ভারতের পক্ষে। দুই দল ২১ বার মুখোমুখি হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ বারই জিতেছে ভারত। ২ বার জিতেছে নেপাল। ৪ বার ড্র করেছে দুই দল।

আগামীকালের ফাইনাল
নেপাল-ভারত
রাশমি ধান্দু স্টেডিয়াম, মালে
রাত নয়টা
সরাসরি সম্প্রচার টি স্পোর্টস 

এজেড/এনইউ