দক্ষিণ কোরিয়া থেকে বাংলাদেশে আসার ভিসা পেয়েছেন পর্তুগিজ কোচ ম্যারিও ল্যামোস। এখন রোববার রাতে বাংলাদেশে পৌঁছানোর আশা করছেন তিনি। অনেকটা আকস্মিকভাবে জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়েছেন ঢাকা আবাহনীর কোচ। 

জাতীয় দলের দায়িত্ব পেয়ে সম্মানিত বোধ করছেন এই কোচ, ‘সত্যি বলতে আমি আবাহনী নিয়েই ভাবছিলাম। হঠাৎ এই দায়িত্ব নিতে হলো। জাতীয় দলকে কোচিং করানো সম্মানের বিষয়।’ দক্ষিণ কোরিয়া থেকে বলেন ল্যামোস।

শ্রীলঙ্কায় চার জাতির টুর্নামেন্ট সম্পর্কে বলেন, ‘অবশ্যই আমার প্রথম লক্ষ্য ফাইনাল খেলা। ফাইনালে উঠলে শিরোপা জেতা।’ ফাইনালে ওঠার চ্যালেঞ্জ নিলেন জাতীয় দলের ভারপ্রাপ্ত কোচ, ‘ফাইনালে বাংলাদেশ দলকে তোলাই আমার লক্ষ্য। কাজটি কঠিন তবে অসম্ভব নয়। আমি দলের ফিটনেস কোচ ছিলাম। আবাহনীর বর্তমান ও সাবেক অনেক ফুটবলারই জাতীয় দলে রয়েছে।’

৮ নভেম্বর শুরু হওয়া টুর্নামেন্টের আগে ল্যামোস দুই সপ্তাহের মতো সময় পাচ্ছেন। এই সময়কে যথেষ্ট মনে করছেন তিনি, ‘ফুটবলাররা সাফ খেলে এসেছে। খেলোয়াড়রা টুর্নামেন্টের জন্য প্রস্তুত। দুই সপ্তাহে টেকনিক্যাল ও গেম প্ল্যান নিয়ে কাজ হবে বেশি।’ ল্যামোস তার দল সম্পর্কে ধারণা দিলেন, ‘আমি এখানে ২৩ জনের প্রাথমিক দল ডাকব। উজবেকিস্তান থেকে ৬-৭ জন শ্রীলঙ্কা যাবে।’ 

বসুন্ধরা কিংস টানা দুই বার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন। এবার শিরোপা ফিরে পেতে বদ্ধ পরিকর ঢাকা আবাহনী। ক্লাবটির পর্তুগিজ কোচ ম্যারিও ল্যামোস আবাহনীর শিরোপা পুনরুদ্ধারে যখন ব্যস্ত তখন জাতীয় দলের দায়িত্বে। নতুন এই দায়িত্ব আবাহনীর প্রস্তুতিতে খানিকটা ব্যঘাত হিসেবেও দেখছেন ‘জাতীয় দলে আমার কোচিং স্টাফে থাকবেন দুই একজন। আবার ঢাকায় ক্যাম্প চলবে সামনে স্বাধীনতা কাপ।’ আজ বিকেলে জাতীয় দল কমিটির সভা রয়েছে। এই সভা শেষে জানা যাবে ল্যামোসের কোচিং স্টাফ কারা হচ্ছেন। 

এজেড/এমএইচ