চলতি বছরের প্রথম ভাগে লিওনেল মেসি ছিলেন আগুনে ফর্মে। আর্জেন্টিনার হয়ে প্রথমবারের মতো জিতেছেন আন্তর্জাতিক কোনো শিরোপা, সে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় আর সর্বোচ্চ গোলদাতাও বনেছেন তিনি। এর আগে ক্ষয়িষ্ণু শক্তির বার্সেলোনাকেও লা লিগায় রেখেছেন শিরোপার দৌড়ে, বনেছেন সর্বোচ্চ গোলদাতা, দলকে জিতিয়েছেন কোপা দেল রে শিরোপা। 

এমন সব কীর্তি যার নামের পাশে, সেই মেসির তো ব্যালন ডি’অরের সেরার তালিকায় থাকারই কথা। তিনি আছেনও। রেকর্ড সপ্তমবারের মতো পুরস্কারটি জেতার দারুণ সম্ভাবনা তার। সাবেক বার্সা ও চেলসি ফরোয়ার্ড স্যামুয়েল ইতোও মনে করেন, এবারের পুরস্কারটা মেসিরই প্রাপ্য।

আর্জেন্টাইন অধিনায়কের লড়াইটা এবার জর্জিনিও, রবার্ট লেভান্ডভস্কি, কারিম বেনজেমাদের সঙ্গে। তবে মার্কাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইতো জানালেন, পুরস্কারটা মেসিরই প্রাপ্য। বললেন, ‘সবসময়ই মেসি, যে আমার কাছে ছোট ভাইয়ের মতো। তাকে মানুষ হিসেবে, আর খেলোয়াড় হিসেবেও বেশ পছন্দ করি আমি। আমি তাকে চোখের সামনে বড় হতে দেখেছি, তার জন্য বিশেষ ভালোবাসা আছে আমার।’

মেসি ও ইতো, যখন বার্সেলোনায় খেলতেন একসঙ্গে/ফাইল ছবি

তবে মেসিকে বাদ দিলে ফুটবল বিশ্বের বর্তমান তারকাদের মধ্যে কাকে বেশি ভালোবাসেন ইতো, সে প্রশ্নও ধেয়ে গিয়েছিল তার দিকে। সে প্রশ্নের জবাবে ইতো জানান, সে খেলোয়াড়টা হবেন কারিম বেনজেমা, যিনি কিনা তার সাবেক ক্লাব বার্সেলোনার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের প্রাণভোমরা।

তবু ফরাসি স্ট্রাইকার তার গুণ দিয়েই জিতে নিয়েছেন ইতোর ভালোবাসা। সে সাক্ষাৎকারে সাবেক বার্সেলোনা তারকা বলেন, ‘মেসি আমার চোখে এখনো বিশ্বসেরা। যদি আমরা তাকে সরিয়ে রাখি, তাহলে অনেককে আমি ভালোবাসি। যেমন ধরুন বেনজেমা।’

কেন, সে বিষয়টাও জানিয়ে দিলেন ইতো। বললেন, ‘সে এমন একজন খেলোয়াড় যাকে আমি ভালোবাসি। ক্রিশ্চিয়ানো রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে চলে গেছে। এরপর রিয়াল মাদ্রিদকে নিজের কাঁধে নিয়ে এগিয়ে চলেছে বেনজেমা।’

এনইউ