এই তো চলতি বছরের শুরুতেই লিওনেল মেসি বিশাল এক ঘর কিনেছিলেন মিয়ামিতে। ঘর বললে ভুল হবে হয়তো, রাজপ্রাসাদ বললেই হয়তো ঠিক শোনায়। কী ছিল না সেই ঘরে? বেডরুম, বাথরুম তো আছেই, সঙ্গে ছিল বিশাল ওয়াইন সেলার, সুইমিং পুল, রুফটপ স্পেস। ৭৪ কোটি টাকা খরচে কেনা সেই ফ্ল্যাট কিনা মেসি রাখলেন না এক বছরও! 

ইংলিশ সংবাদ মাধ্যম দ্য সান জানাচ্ছে এ ঘটনা। তবে মেসি কেন এত তাড়াতাড়ি ঘরটা বেচে দিলেন, সেটা এখনো জানা যায়নি। গুঞ্জন আছে, ক্যারিয়ারের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্রে কিছু সময় কাটানোর যে অভিপ্রায় ছিল তার, তা থেকে সরে এসেছেন তিনি। তাই এই সিদ্ধান্ত তার।

মিয়ামির সানি আইলস বিচের কাছে ডাউনটাউনে ৭৪ কোটি টাকা খরচায় ঘরটি কিনেছিলেন তিনি। রিয়াল এস্টেট ব্যবসার ওয়েবসাইট রিয়াল ডিল জানায়, মেসির এই ঘরে ছিল সি ভিউতে চার বেডরুম, চারটা বাথরুমসহ ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ, ৫১১ স্কয়ার মিটার ইনডোর স্পেস আর ১৯৫ মিটার রুফটপ স্পেস।

যা কিনতে মেসির পকেট থেকে খসেছিল ৭.৩ মিলিয়ন ইউরো যা বাংলাদেশি টাকায় ৭৪ কোটি টাকা সমমূল্যের অর্থ। মেসি তার বাড়িটি কিনেছিলেন ক্যালেরোমালিনা এলএলসি নামের এক কোম্পানির মাধ্যমে। 

তার বাড়িতে আরও ছিল, ১০০০ বোতল ওয়াইন কুলার, ছয়টি সুইমিংপুল, স্পা, ক্যাবানা, ফিটনেস সেন্টার, ইয়োগা স্টুডিও, বাচ্চাদের খেলাঘর, একটা রান্নাঘর, ও শ্যাম্পেন বার। কী ছিল না সেটাই ছিল বড় প্রশ্ন। তবে এতকিছুও বুঝি মেসিকে তুষ্ট করতে পারল না! মেসি শেষমেশ বছর ঘোরার আগেই বেচে দিলেন সেই ঘরটা।

এনইউ