এনায়েতুর রহমান খান

ঢাকা ক্লাব দেশের সবচেয়ে অভিজাত সামাজিক ক্লাব। এই ক্লাবের আভিজাত্যে বৃহস্পতিবার ছিল একটু ভিন্নতার ছোঁয়া। দেশের ফুটবলের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার এনায়েতুর রহমান খান ২৭ বছর পর এক সংক্ষিপ্ত সফরে ঢাকায় এসে ঢাকা ক্লাবেই থাকছেন। এত দিন পর এনায়েত এসেছেন শুনেই ঢাকা ক্লাবে হাজির হচ্ছেন তারকা ক্রীড়াবিদ সংগঠকরা।
 
১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ ফুটবল দলের অভিষেক গোল এনায়েতের। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্য , স্বাধীনতা-উত্তর প্রথম লিগের চ্যাম্পিয়ন দলের খেলোয়াড়, লিগের একবারের সর্বোচ্চ গোলদাতাও তিনি। এসব কিছু ছাপিয়ে ফুটবলার এনায়েতের যোগ্যতা ও সামর্থ্য সব কিছুর উপরে। বাংলাদেশের ফুটবলের সর্বকালের অন্যতম সেরাদের একজন হয়েছেন তিনি এ কারণেই। 

বয়সের কোটা ৭০ পার করা কিংবদন্তি ফুটবলারের সঙ্গে আজ (বৃহস্পতিবার) অনেকক্ষণ সময় ছিলেন ঢাকা পোস্টের সিনিয়র স্পোর্টস রিপোর্টার আরাফাত জোবায়ের। অত্যন্ত ব্যক্তিত্বসম্পন্ন, অকপট বক্তা এনায়েতের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করেছেন ফুটবলের সোনালী দিন, তার ক্যারিয়ার, সালাউদ্দিন-এনায়েত তুলনাসহ নানা বিষয়।

ঢাকা পোস্ট : ২৭ বছর পর বাংলাদেশে ফিরলেন। দীর্ঘদিন দেশ থেকে দূরে ছিলেন, এটা কি অভিমানে?

এনায়েত:  ‘৯০-এর দশকে আমি বিদেশে পাড়ি জমিয়েছি। এর পেছনে ফুটবলের বা এই সংশ্লিষ্ট কারো প্রতি রাগ নেই। জীবনের প্রক্রিয়াই আমাকে বিদেশে টেনে নিয়েছে। জীবন অতিবাহিত করার জন্যই আমার দেশ থেকে চলে যাওয়া। 

ঢাকা পোস্ট : তাহলে এতদিনে একবারও দেশে আসলেন না কেন?

এনায়েত : না আসার অনেক কারণ আছে। কেন আসিনি সেটা অনেক বিষয়ের উপর নির্ভর করে। এখন কেন এসেছি এর উত্তরটাই দেই। গাফফার (সাবেক তারকা ফুটবলার) এবং মোহন (ব্রিজ ফেডারেশনের সভাপতি মুশফিকুর রহমান মোহন) বলল আপনি দেশের স্বাধীনতার (স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল) সঙ্গে জড়িত। সেই সনদ ও স্বীকৃতি নেওয়া প্রয়োজন। এজন্য ওদের অনুরোধে ও দেশের টানে কিছু দিনের জন্য আসা। দুই বছর আগে থেকে গাফফার ও মোহন আমাকে দেশে আসার জন্য লেগেছিল। করোনা ও নানাবিধ কারণে আসা হয়নি। অবশেষে এবার এসেই পড়লাম।

ঢাকা পোস্ট : আপনার ক্যারিয়ারে অনেক গোল ও সাফল্য আছে। এত কিছুর মধ্যে নিশ্চয়ই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সময়গুলো অনন্য...

এনায়েত : অবশ্যই সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। বাংলাদেশ ও আমাদের স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল বিশ্বের কাছে একটা বিস্ময়। ফুটবলাররা দেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করে এমন নজির আর কোথাও নেই। ওই দলের সদস্য হতে পারা নিশ্চয়ই অন্যরকম রোমাঞ্চের। 

ঢাকা পোস্ট : আপনারা যে ফুটবল খেলেছেন এবং বিদেশে যাওয়ার সময় যে ফুটবল রেখে গেছেন এখন বাংলাদেশের ফুটবল সেই অবস্থানে নেই। আপনার কাছে কী কারণ মনে হয়?
 
এনায়েত: যে কোনো কিছুর উত্থান-পতন থাকতে পারে। ব্রাজিল আগে চ্যাম্পিয়ন হতো, এখন সেমিফাইনাল-কোয়ার্টার ফাইনাল বিদায় নেয়। খেলাটা এ রকমই। বাংলাদেশের ফুটবল আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কখনোই কোনো স্তরে ছিল না। ঘরোয়া পর্যায়ে জনপ্রিয়তা-আকর্ষণ ছিল, সেটা সময়ের পরিক্রমায় এখন হয়তো নেই, আবার সামনে হয়তো ফিরে আসবে।

ঢাকা পোস্ট : বাংলাদেশের এখনকার ফুটবলে খোঁজ কি রাখেন?

এনায়েত: বাংলাদেশের ফুটবলের খবর সেভাবে রাখি না। আবছা আবছা খবর পাই। ফুটবল কোন আঙ্গিকে কিভাবে যাচ্ছে আমার জানা নেই।

ঢাকা পোস্ট : আপনাদের সময় দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ছিল ফুটবল। ক্রিকেট ছিল অনেকটা পেছনে। এখন ক্রিকেট ফুটবলকে ছাপিয়ে গেছে জনপ্রিয়তায়...

এনায়েত: সব খেলাই একটা চক্রাকারে ঘুরে। একেক সময় একেক খেলার জোয়ার থাকে। যে কোনো খেলাধুলাই বৃহত্তর পরিকল্পনার সাথে সম্পৃক্ত। বৃহত্তর পরিকল্পনা করে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার অবস্থা আমাদের আছে কি না সেটা বিবেচনার বিষয়। বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নতি-অবনতির জন্য ব্যক্তিগত কাউকে দোষারোপ করে লাভ নেই, এটা সামগ্রিক ব্যাপার।

একটি জাতি যখন সব দিক থেকে এগুতে থাকে তখন এর খেলাধুলাও এগিয়ে যায়। যে জাতি তত উন্নত দিকে থাকে খেলাধুলাও উন্নত দিকে যাবে। ফুটবলও উত্তরোত্তর আগানোর কথা। প্রবাহমান পৃথিবীর খেলার যে প্রক্রিয়া এটা ঠিকভাবে হচ্ছে কি না এটা আমি লক্ষ্য করছি না। যেহেতু আমি ব্যক্তিগতভাবে জড়িত নাই বাংলাদেশের ফুটবলের সঙ্গে। ফুটবলের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি পরিবর্তন করা সম্ভব। ফুটবলের সাথে বৈশ্বিক ও জাতীয় অনেক বিষয় সরাসরি সম্পৃক্ত।

ঢাকা পোস্ট : আপনি দেশের ফুটবলের কিংবদন্তী। অনেক দিন পর দেশে আসলেন। ফেডারেশন, ক্লাব যদি আপনার সহযোগিতা চায়, করবেন?

এনায়েত : আমার কাছে সাহায্য চাওয়ার কিছু আছে কী? দেশে তো বড় বড় খেলোয়াড় আছে, তারা যদি না পারে আমি কীভাবে পারব। আমি তো একজন সাধারণ খেলোয়াড়। 

ঢাকা পোস্ট : আপনি নিজেকে সাধারণ খেলোয়াড় বলছেন। কিন্তু আপনারও সিনিয়র ফুটবলার, বর্ষীয়ান ক্রীড়া সাংবাদিক আরো অনেকে ‘এনায়েতুর রহমান বাংলাদেশের সেরা ফুটবলার’ বলে...

এনায়েত : আমার কাছে তো মনে হয় না আমি খুব ভালো খেলোয়াড় ছিলাম। আমি সাধারণ একজন ফুটবলার। হয়তো আমার খেলা অনেকের ভালো লেগেছে এজন্য তারা এ রকম বলে।

ঢাকা পোস্ট : বাংলাদেশের ফুটবল তো বটেই, দেশের ক্রীড়াঙ্গনের চিরায়িত আলোচনা সালাউদ্দিন না এনায়েত কে সেরা। আপনার সঙ্গে সালাউদ্দিনের এই তুলনা কিভাবে দেখেন?

এনায়েত : আমি এই তুলনায় যেতে চাই না। তবে সালাউদ্দিন নিঃসন্দেহে অত্যন্ত জনপ্রিয় ফুটবলার। আমার কয়েকজন প্রিয় ফুটবলারের মধ্যে সালাউদ্দিনও রয়েছে। প্রতাপ দা, পিন্টু ভাইয়ের সঙ্গে আমি সালাউদ্দিনের খেলাও পছন্দ করতাম। আমিও সালাউদ্দিনের ভক্ত।

ঢাকা পোস্ট : জনপ্রিয়তায় সালাউদ্দিন শীর্ষে এটা সবাই বলে থাকে কিন্তু অনেকের মতে আপনার গোল করা ও করানোর উভয় ক্ষমতা এবং আদর্শ ফুটবলারের সকল গুণাবলিতে আপনি অনন্য।

এনায়েত: এটা যদি বলেই থাকে তাহলে অনেক জরিপ বা অনেকের মতেই তো সালাউদ্দিন সেরা, তাহলে সেটা কিভাবে। 

ঢাকা পোস্ট : শোনা যায় আপনার সঙ্গে সাংবাদিকদের কিছুটা দূরত্ব ছিল। আপনার তারকাখ্যাতি কম হওয়ার পেছনে এটা কি একটা কারণ?
 
এনায়েত: কোনো সাংবাদিক আমার ইন্টারভিউ চেয়ে পায়নি এ রকম কখনো হয়নি। আমি কারো খুশি করার জন্য বা প্রভাবিত হয়ে উত্তর দেই না। যা প্রশ্ন হয়, ওই অনুযায়ী উত্তর দেই। একবার এক সাংবাদিক প্রশ্ন করলেন ফুটবল সম্পর্কে বলেন? আমি বললাম, ফুটবলের ওজন এত, চামড়া এই ধরনের, সেলাই এতটা। 

এই উত্তরটা তার মনঃপুত হয়নি। বলেন তো আমি কি ভুল কিছু বলেছি? সে প্রশ্ন করেছে ফুটবল নিয়ে আমি তো ফুটবল সম্পর্কই বলেছি। আমি আসলে ফুটবলের সব দিকেই খেয়াল করতাম। সেই সাংবাদিক এত চিন্তা করতে পারেনি, তখন সে গ্রহণ করে নাই। আবার সদ্য ইন্টারমিডিয়েট পার হওয়া ছাত্রও আমার সাক্ষাৎকার নিয়েছে। তাকে কিন্তু আমি যথেষ্ট সহায়তা করেছি কীভাবে একটি সুন্দর সাক্ষাৎকার দেওয়া যায়। জ্ঞানত আমি কোনো সাংবাদিককে ছোট করে দেখিনি আবার কাউকে খুব বিশেষভাবেও দেখিনি। 

ঢাকা পোস্ট : সেরা বা জনপ্রিয়তার প্রসঙ্গে আপনার কিছুটা অভিমান আছে, ঠিক না?

এনায়েত : একদম অনুরাগ বা অভিমান নেই। আমার যত রাগ এর পুরোটাই ছিল বলের উপর। আমি বলকে আমার মত কথা শোনানোর চেষ্টা করেছি। বল আমার কথা সঠিকভাবে না শুনলে খারাপ লাগত।

ঢাকা পোস্ট : বলের উপর আপনার অসাধারণ দখল ছিল এবং শটেও যথেষ্ঠ গতি ছিল। আপনার কয়েকটি গোল যদি স্মরণ করতেন..
 
এনায়েত: অনেক গোল করারই সুযোগ হয়েছে। ব্যাকহাম, ম্যারাডোনার মতো গোলও আমার আছে। বেকহ্যাম ফ্রি কিক আপনারা যেটা বলেন। এ রকম গোল আমি করেছি ১৯৭৩ সালে ( ওয়ান্ডারার্সের বিপক্ষে বিআইডিসির হয়ে সাত জনের দেয়াল ভেদ করে দর্শনীয় গোল)।

ঢাকা পোস্ট : আপনি একবার সর্বোচ্চ গোলদাতা লিগের এবং অন্যতম সেরা প্লেমেকার। রক্ষণে এবং গোলরক্ষকে কাকে পরাস্ত করতে আপনার বেশি কষ্ট হয়েছে?

এনায়েত : আমি গোল করার চেষ্টা করেছি তারা আমাকে ঠেকানোর চেষ্টা করেছে। এই দুইয়ের লড়াইয়ে হয়তো আমি কখনো জিতেছি আবার কখনো হেরেছি। তবে আমি কখনো ডিফেন্ডারদের সেভাবে ফাউল করিনি। টুটুলকে পরাস্ত করা ছিল কিছুটা কষ্টসাধ্য। ওর গতি ও ট্যাকলিং দুটোই ছিল দারুণ।
  
ঢাকা পোস্ট : ১৯৭০ সালে ভিক্টোরিয়ায় ক্যারিয়ার শুরু করে ৭৩ সালে বিআইডিসিতে,৭৪ সালে ওয়াপদা,৭৫-৭৭ বিজেএমসিতে ছিলেন। আপনি এত বড় ফুটবলার হয়ে আবাহনীতে কখনো খেলেননি কেন এবং মোহামেডানেও খেলেছেন একেবারে শেষ মুহূর্তে...

এনায়েত : প্রথমত আমাকে আবাহনী থেকে খেলার আমন্ত্রণ দেওয়া হয়নি। প্রস্তাব না পেলে কীভাবে খেলব। আমাকে যে ক্লাবগুলো প্রস্তাব দিয়েছে তাদের হয়েই খেলেছি। 

ঢাকা পোস্ট : আপনি ১৯৭৮ সালে রেফারি দলিল খানকে মেরেছিলেন। এর জন্য কড়া শাস্তি পেয়েছিলেন। মনে আছে?

এনায়েত: আমার মতো সাধারণ খেলোয়াড় যদি জনপ্রিয় হয়ে থাকে তাহলে সেই ঘটনার জন্যই। একজন সাধারণ খেলোয়াড় রেফারিকে প্রহার করবে সেটা কেউ ভাবেনি। ওই ঘটনাই আমাকে বিশেষভাবে সবাই স্মরণ করেছে।

আমি ফুটবলের ওজন, সেলাই সংখ্যা যেমন জানতাম। তেমনি ফুটবলের আইনকানুনও সব জানতাম। ফুটবলের এমন কোনো আইন ছিল না, যা আমি জানব না রেফারি জানবে। আবার সেই সময় আমি প্রতিটি ফুটবলার সম্পর্কে জানতাম কারণ সে যেন আমার জায়গা না নিতে পারে। যাই হোক সেদিন ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে আমাকে ক্রমাগত ফাউল করা হলেও রেফারি এড়িয়ে যাচ্ছিলেন। শেষ পর্যন্ত আমি মেজাজ হারাই এর জন্য আমি অনুতপ্ত নই।

ঢাকা পোস্ট : আপনি বললেন রেফারি পেটানোর ঘটনায় আপনাকে মানুষ মনে রেখেছে। বাংলাদেশের ফুটবলের ইতিহাসের সঙ্গে আপনি। দেশের হয়ে প্রথম গোল, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে প্রথম লিগ চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য। আপনাকে ছাড়া বাংলাদেশের ফুটবলের ইতিহাস তো অপূর্ণ। বাংলাদেশের অভিষেক গোলের মুহূর্তটি যদি একটু স্মরণ করতেন...

এনায়েত : প্রথম গোলের বিষয়টা তাহলে বলি। আমার কাছে কিন্তু প্রথম গোলটি খুব বিশেষ কিছু নয়, যে কেউ গোল করতে পারতো। হয়তো আমি দেশের হয়ে প্রথম গোল করে ফেলেছি। ফুটবলটা পায়ের খেলা বাংলাদেশের প্রথম গোল কিন্তু হয়েছে হেডে (হাসি)। ওই ম্যাচে দ্বিতীয় গোল সালাউদ্দিন যেটি করেছে সেটা আমার করা শটে পোস্টে ফিরে আসে। এরপর সালাউদ্দিন দৌড়ে এসে গোল করে।

ঢাকা পোস্ট : স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের মতো দেশের প্রথম জাতীয় দলের সদস্যও আপনি...

এনায়েত: এটা বলতে দ্বিধা নেই ওই দলে প্রথমে আমি ছিলামই না। বাফুফে এক সদস্য (মোজাফফর হোসেন পল্টু) আমাকে পরবর্তীতে দলে নেয়। না হলে সেই দলে আমার খেলাই হয়তো হতো না। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলে খেলেছি প্রতাপ দা, পিন্টু ভাইয়ের জন্য। এ রকম সুযোগ বা সমর্থন না পেলে হয়তো আমি এ রকম হতে পারতাম না। আমার চেয়ে ভালো কেউ হয়তো এ রকম সুযোগ পায়নি বিধায় আসতে পারেনি।

ঢাকা পোস্ট : বাংলাদেশের ফুটবল নিয়ে কেমন আশা দেখেন?

এনায়েত : অবশ্যই আশা দেখি। এই দেশের নড়াইল থেকে যদি মাশরাফি, মাগুরা থেকে সাকিব বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার হয় তাহলে কেন সেই দেশের ফুটবলাররা পারবে না। আমার মতো সাধারণ ফুটবলার এই দেশের গ্রামগঞ্জে অবশ্যই রয়েছে। 

ঢাকা পোস্ট : আপনি আবারও নিজেকে সাধারণ বলছেন। মেনেই নিলাম সাধারণ আপনি আপনার সেই সাধারণ মানের ফুটবলার গত কয়েক যুগে নেই। আর যদি প্রতিভা থাকেই বাংলাদেশের ফুটবলে তাহলে কিছু দিন আগে সিশেলসের সঙ্গে ড্র এবং শ্রীলঙ্কার সঙ্গে হারই কেন?

এনায়েত: আমরা কখনোই ফুটবল বিশ্বে ভালো কিছু ছিলাম না। সাধারণের প্রসঙ্গে বলব আমি সুযোগ পেয়েছি নিজেকে বিকশিত করার। আমার সময় অনেকেই পায়নি। এ রকম এখনো অনেকে আছে যারা সুযোগ পাচ্ছে না। সেই সুযোগ করে দিতে হবে।

এজেড/এমএইচ/এনইউ/এটি