বাদল রায় একটা ইন্সটিটিউশন
দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব বাদল রায়। ক্রীড়াঙ্গনের সবাইকে কাঁদিয়ে গত বছর ২২ নভেম্বর পৃথিবী ছেড়ে চলে যান তিনি। বাদল রায় চলে যাওয়ার এক বছরও হয়েছে দিন চারেক আগে।
বাদলের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর দিন বাফুফে, মোহামেডান থেকে কোন শোক বার্তা দেওয়া হয়নি। সাবেক ফুটবলারদের সংগঠন সোনালী অতীত ক্লাব দিন চারেক পর বাদলকে নিয়ে স্মরণসভার আয়োজন করেছে। সাবেক ফুটবলার, সংগঠক, ক্রীড়াঙ্গনের অনেকে বাদলকে নানাভাবে স্মরণ করেছেন।
বিজ্ঞাপন
সোনালী অতীত ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাবেক তারকা ফুটবলার ইলিয়াস হোসেনের পরিচয় মোহামেডানের ইলিয়াস হিসেবে। মোহামেডানের ইলিয়াস হয়ে উঠার পেছনে এবং মোহামেডানের প্রতি বাদলের ভালোবাসা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘একবার আবাহনীর হয়ে খেলার জন্য কথা দিয়েছিলাম। বাদল দা আমাকে মোহামেডানে থাকার ব্যবস্থা করেন। ঢাকার বাইরে খেলতে গিয়েছিলাম। সেখানে হঠাৎ আহত হয়ে মাঠের বাইরে চলে যাই। এরপর সরাসরি মোহামেডান ক্লাবে। আর আবাহনীতে যাওয়া হয়নি। এটা হয়েছে বাদল দার জন্য।’
বাদল রায়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু কামরুন্নাহার ডানা। দেশের অন্যতম সেরা নারী ক্রীড়াবিদ ও সংগঠক ডানাও বলেন বাদলের জন্যই তার মোহামেডানে খেলা, ‘আমি ও বাদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একই সেশনের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিচয় ওর সঙ্গে। আমি ছোটবেলা থেকে আবাহনীর সমর্থক। বাদলের মাধ্যমেই মোহামেডানে আসা এবং এখন পর্যন্ত মোহামেডানেই।’
বিজ্ঞাপন
বাদল রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন। ছাত্রলীগ প্যানেল থেকে জয়ী হওয়ার পর তিনি আজীবন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ডাকসু নির্বাচনে ক্রীড়া সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করা ইমতিয়াজ সুলতান জনি বলেন, ‘কানন, মানিক, কায়সার ক্রীড়া সম্পাদক প্রার্থী ছিল। ছাত্রলীগ থেকে কেউ ছিল না। এরপর বাদল দা আমাকে নির্বাচনে দাঁড় করায়।’
বাদল রায় মোহামেডান ক্লাব, বাফুফে, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনে বিভিন্ন পদে ছিলেন। বাদল রায়কে একটি ইন্সটিউশন বলেন তার দীর্ঘদিনের বন্ধু আব্দুল গাফফার, ‘বাদলের সঙ্গে আমার পরিচয় ১৯৭৭ সাল থেকে। খেলাধুলা, সংগঠন, রাজনীতি সব একসাথে করেছি। বাদল রায় একটি ইন্সটিটিউশন।’
বাদল রায়ের স্মরণসভায় তাকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেন আবাহনীর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হারুনর রশীদ, কিংবদন্তি ফুটবলার গোলাম সারওয়ার টিপু, ফজলুর রহমান বাবুল, বাদলের স্ত্রী মাধুরী রায়সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। সোনালী অতীত ক্লাব প্রাঙ্গনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই বাদল রায়ের পরিবারের সাথে থাকার কথা বলেন।
এজেড/এমএইচ