ক’দিন আগেই চ্যাম্পিয়ন্স চেলসির কাছে চার গোল হজম করে ফিরেছে জুভেন্তাস। সে ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই পাওলো ডিবালারা হজম করলেন আরও এক তেতো স্বাদ। ঘরের মাঠে আটালান্টার কাছে হারলেন ১-০ গোলে। তাতে ভাঙা হয়ে গেছে ইতিহাসও। ৩২ বছর পর এই প্রথম বের্গামোর দলটির কাছে ঘরের মাঠে হারের বিষাদে ডুবল তুরিনের বুড়িরা। 

শেষ সাত ম্যাচে হার নেই। তার ওপর আটালান্টা স্ট্রাইকার দুভান জাপাতা ছিলেন আগুনে ফর্মে। টানা ছয় ম্যাচে পেয়েছেন গোল। নিজেদের দুর্দিনে এমন দলকে আতিথ্য দেওয়ার আগেই তো বিপদের বার্তা পেয়ে যাওয়ার কথা জুভেন্তাসের। 

শেষ কিছুদিনে জুভেন্তাসের সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে দলটির মাঝমাঠ। ম্যানুয়েল লোকাতেল্লি নিজের ছায়া হয়ে গেছেন ইউরোর সময় থেকে। আদ্রিয়েন র‍্যাবিও নিজের সেরা সময়টা পেরিয়ে এসেছেন সেই কবেই। বেঞ্চ থেকে উঠে এসে কেউ জাদুকরি কিছু করবেন, তেমন মিডফিল্ডার কোথায়! মাঝমাঠ থেকে আক্রমণের সুযোগ তাই সৃষ্টি হয় কালেভদ্রে। 

মাঝমাঠ নিষ্প্রভ হয়ে যাওয়ায় অধিনায়ক দিবালার ওপরই এসে পড়েছে সুযোগ সৃষ্টির সব দায়িত্ব। সে চিত্র গত রাতেও দেখা গেছে দলটির খেলায়। প্রথমার্ধে যা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, সব তার কল্যাণেই। ১৭ মিনিটে প্রতিপক্ষ বিপদসীমায় দারুণ কারিকুরি করে শট যা নিয়েছেন, তাও অবশ্য ছিল দুর্বল। ৩৪ মিনিটে ওয়েস্টন ম্যাককেনিকে তৈরি করে দেওয়া সুযোগটা অবশ্য বেশ ভালোই ছিল। কিন্তু সেটাও রুখে দিয়েছে আটালান্টা রক্ষণ।

দুই সুযোগের মাঝেই আটালান্টা পেয়ে গেছে তাদের গোলটা। মাঝমাঠ থেকে জিমসিতির পাস থেকে জাপাতা করেন গোল, তাতে টানা সাত ম্যাচে গোলের কীর্তি গড়ে বসেন তিনি। 

দ্বিতীয়ার্ধে জুভেন্তাস সুযোগ সৃষ্টি করেছিল কিছু। কিন্তু সেসব রুখতে সফরকারীদের বেগ পেতে হয়নি তেমন। একেবারে শেষ মুহূর্তে সবচেয়ে বড় সুযোগটা এসেছিল ফ্রি কিক থেকে। কিন্তু দিবালার দুর্ভাগ্য, সে শটটাও লেগে ফেরে ক্রসবার থেকে। তাই ১-০ ব্যবধানে হেরেই ম্যাচ শেষ করে জুভেন্তাস। 

আর সিরি’আর সবচেয়ে সফল দলটির মাঠে ১৯৮৯ সালের পর প্রথম জয় তুলে নেয় আটালান্টা। এর ফলে দলটি ১৪ ম্যাচ শেষে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে আছে তালিকার চারে। আর জুভেন্তাস এই হারের পর ২১ পয়েন্ট নিয়ে আছে তালিকার অষ্টম অবস্থানে।

এনইউ