এমনিতেও তিনি এগিয়েই ছিলেন সবার চেয়ে। এবার লিওনেল মেসি সেটি যেন নিয়ে গেলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। তার ব্যালন ডি অর সংখ্যা এখন ইতিহাসের সর্বোচ্চ সাতটি, ৩৭ বছর বয়সী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পাঁচ। এখনো খেলছেন এমন ফুটবলারদের মধ্যে ব্যালন ডি অরই আছে একজনের, ২০১৮ সালে জিতেছেন লুকা মদ্রিচ।

সোমবার রাতে প্যারিসে বর্ণিল সন্ধ্যায় দেওয়া হয়েছে এবারের ব্যালন ডি অর। মেসিই জিতেছেন সেটি। এটি জেতার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল মেসির এবারের কোপার পারফরম্যান্সের। দেশের হয়ে বহুল আকাঙ্ক্ষিত শিরোপাটি জিতেছেন তিনি।

আরও পড়ুন : কোপা ট্রফি জিতলেন পেদ্রি, ধন্যবাদ জানালেন মেসিকে

২৮ বছর পর কোপার শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনাও। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় ও সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন মেসি। আর্জেন্টাইন অধিনায়ক ব্যালন ডি অর জিতেও ভুলেননি জাতীয় দলের সতীর্থদের। আলাদা করে ধন্যবাদ দিয়েছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থদের। 

তিনি বলেছেন, ‘আবারও ফ্রান্স ফুটবলের ব্যালন ডি’অর জিতে আমি সত্যিই গর্বিত। সপ্তমবারের মতো এটি জিততে পারাটা অবিশ্বাস্য। ধন্যবাদ জানাতে চাই আমার পরিবার, বন্ধুদের এবং যারা আমাকে অনুসরণ করে, সবসময় আমাকে সমর্থন করে। তাদেরকে ছাড়া আমি এটি অর্জন করতে পারতাম না।’

আরও পড়ুন : কেন ব্যালন ডি অর জিতলেন মেসি

‘আমি বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের কোচিং স্টাফ ও আমার সেখানকার সতীর্থদের। আমি অনেক বেশি করে যে স্বপ্নটা দেখতাম, সেটা পূরণ করতে পেরেছি এবার। কিন্তু দিনশেষে, এমন হয় এবং এই পুরস্কারটার বেশি কৃতিত্ব আমি কোপায় কী করেছি সেটারই। এটার অংশীদার তারাও।’

চলতি বছরই বার্সেলোনার সঙ্গে ২১ বছরের সম্পর্কের অবসান ঘটেছে। নতুন জায়গা ফ্রান্সের প্যারিসে এসেছেন মেসি। নতুন জায়গায় খুব খুুশি, সেটি ব্যালন ডি অরের মঞ্চে দাঁড়িয়েও বললেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। ধন্যবাদ জানিয়েছেন পিএসজি সতীর্থদেরও।

আরও পড়ুন : লেভান্ডভস্কি ব্যালন ডি অর প্রাপ্য ছিল : মেসি

বলেছেন, ‘আমি এখন প্যারিসে। আমি অনেক খুশি, অনেক অনেক খুশি। আমি নতুন কিছুর উদ্দেশ্যে পৌঁছানোর চেষ্টা চালিয়ে যেতে চাই। আমি জানি না আর কত বছর, কিন্তু আমি সত্যিই খুব উপভোগ করছি। আমি বার্সেলোনা, প্যারিস ও আর্জেন্টিনায় আমার সতীর্থদের ধন্যবাদ জানাতে চাই।’

এমএইচ