চলমান স্বাধীনতা কাপে চমক দেখাল স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ। আজ (শুক্রবার) বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী কমলাপুর স্টেডিয়ামে ‘সি’ গ্রুপের একমাত্র ম্যাচে স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ ৩-২ গোলে পুরান ঢাকার ক্লাব রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটিকে হারায়।  

গতকালের মতো আজও চমক হলো। গতকাল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী হারিয়েছিল মোহামেডানকে। আজ জায়ান্ট কিলার রহমতগঞ্জ হারল প্রিমিয়ার লিগের নবাগত দল স্বাধীনতার সঙ্গে। 

ম্যাচের ৩ মিনিটেই গোলের দেখা পেয়ে যায় পুরনো ঢাকার ক্লাব রহমতগঞ্জ। ডান পায়ের গড়ানো প্লেসিং শটে লক্ষ্যভেদ করে উল্লাসে মেতে ওঠেন ফিলিপ। ১৬ মিনিটে সমতায় ফেরে স্বাধীনতা। বক্সের ভেতরে জটলার মধ্যে শট নেন বসনিয়ান ফরোয়ার্ড নেদো তুরকোভিচ। বল পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি (সাইডভলি) শটে প্রতিপক্ষের জাল কাঁপান পোলিশ ফরোয়ার্ড রাফাল আউরেলিউজ যাবোরস্কি।

৯ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করে রহমতগঞ্জ। ডান প্রান্ত দিয়ে প্রতিপক্ষের বক্সের ভেতরে ঢুকে গড়ানো কাটব্যাক করেন ফিলিপ। সেই বলে ডান পায়ের জোরালো শটে বল জালে পাঠান সানোয়ার হোসেন। ৫০ মিনিটে সমতায় ফেরে স্বাধীনতা। সাব্বির হোসেনের কাছ থেকে বক্সের ভেতরে ক্রস পেয়ে চমৎকারভাবে ফিনিশ করেন নেদো তুরকোভিচ। 

৭২ মিনিটে আবারও এগিয়ে যায় স্বাধীনতা। বল নিয়ে বক্সের ভেতরে ঢুকে পড়ে ডান পায়ের গড়ানো কৌনিক শট নেন রাফাল। পোস্টে বল ঢোকার মুহূর্তে সেই বল রহমতগঞ্জের বদলী ডিফেন্ডার আল আমিনের পায়ে লেগে জালে প্রবেশ করে।  

ম্যাচে দু’বার এগিয়ে গিয়েও দুভার্গ্যজনকভাবে হেরে যায় রহমতগঞ্জ। ২ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে এই গ্রুপে তিন দলের মধ্যে দুইয়ে আছে স্বাধীনতা। পক্ষান্তরে ১ ম্যাচে শূন্য পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে আছে রহমতগঞ্জ। ১ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে যুগ্মভাবে শীর্ষে অবস্থানে ঢাকা আবাহনী। ফলে ৩ দলের গ্রুপে তিন দলেরই পরের রাউন্ডে যাওয়ার সুযোগ আছে।

এই গ্রুপের শেষ ম্যাচ আবাহনী ও রহমতগঞ্জের মধ্যে। আবাহনী ড্র করলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন, হেরে গেলে ৩ দলের পয়েন্ট সমান হবে তখন নানা হিসাব নিকাশের প্রয়োজন হবে। 

এজেড/এমএইচ