খেলাধুলায় চিরাচরিত একটা কথা আছে, একটি দল জিতবে অন্যটি হারবে! তবে দ্বিতীয় দলে কেইবা নাম তুলতে চাইবে? অনেক সময় হারলেও সেই হার হয় সম্মানের। বাংলাদেশ দল ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষ যেভাবে টি-টোয়েন্টির পর টেস্ট সিরিজ হেরেছে, সেটি একেবারেই ভালো বার্তা দেয় না। উল্টো অবস্থান সফরকারী পাকিস্তানের। বাংলাদেশে এসে স্বাগতিকদের বিপক্ষে দুই ফরম্যাটে ৫ ম্যাচের সবগুলোতেই জয় তাদের।

বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে হারলেও টুর্নামেন্টটা নেহায়েত মন্দ যায়নি পাকিস্তানের। বাংলাদেশ সফর শেষে প্রক্কালে অধিনায়ক বাবর আজম সাফল্যর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বললেন, ‘সবাইকে তাদের দায়িত্বটা পরিস্কার করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। আত্মবিশ্বাস দেওয়া হয়। সবাই যেন চেষ্টা করে সেই তাড়না থাকে। যেভাবে দলের সবাই যেভাবে খেলেছে বিশ্বকাপে, টি-টোয়েন্টি সিরিজে এবং টেস্ট সিরিজে – সেটাই আমাদের এগিয়ে নেবে। অধিনায়ক হিসেবে আমি গর্বিত যে আমার কাছে এতো ভালো একটা দল আছে।’

সতীর্থদের উদ্দেশ্যে জয়ের বার্তা ছড়িয়ে সফল বাবর। বাংলাদেশ সফরে পুরো দল হিসেবে খেলেছে তারা। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের সব ম্যাচেই জয়। সিরিজের শেষ টেস্টে ঢাকায় বাজিমাত করেন লেগ স্পিনার সাজিদ খান। প্রথম ইনিংসে বল হাতে একাই ৮ উইকেট নেন এই ‘অখ্যাত’ বোলার। দ্বিতীয় ইনিংসে নেন আরও ৪ উইকেট। এতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ইনিংস এবং ৮ রানে জয় পায় পাকিস্তান।

সাজিদকে প্রশংসা বন্যায় ভাসিয়ে বাবর বলেন, ‘আমরা দুটি সিরিজই জিতেছি। আজ যেভাবে টেস্ট জিতেছি সেটা দারুণ ছিল। আমার মনে হয়েছে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার মুহূর্ত ছিল সাজিদের ওই স্পেলটি। এরপর আজ সকালে এসে ফাস্ট বোলাররা যেভাবে উইকেট নিয়েছে সেটার প্রশংসা যতই করি কম হবে। যখন আপনি জয়ের পেছনে ছুটবেন, তখন ফল আপনার হাতে এসে ধরা দেবে। আমি সবাইকে এই বার্তাই দিয়েছি নিজের মতো করে খেলতে। কিন্তু ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে খেলতে হবে।’

বাংলাদেশি দর্শকদের সমর্থনে মুগ্ধ বাবর যোগ করেন, ‘দর্শকটা আমাদের টি-টোয়েন্টিতে ও টেস্ট ম্যাচে যেভাবে সমর্থন করেছে, সেটা খুবই উপভোগ্য ছিল। এখানে আগেও ক্রিকেট খেলেছি। এখানকার লোকজন আমাদের খুবই ভালোবাসে, সমর্থন করে। সে জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।’

টিআইএস