বাংলাদেশ পুলিশের ম্যাচ শেষ। এরপরও বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে পুলিশের ফুটবলার ও কোচিং স্টাফ। বসুন্ধরা কিংস চট্টগ্রাম আবাহনীকে বড় ব্যবধানে হারালে গোল ব্যবধানে তাদের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার সুযোগ।
 
ম্যাচের ৮২ মিনিট পর্যন্ত বসুন্ধরা কিংস এক গোলে এগিয়ে ছিল। এই স্কোরলাইন থাকলে চট্টগ্রাম আবাহনী ও পুলিশের পয়েন্ট, গোল ব্যবধান, হেড ট হেড সবই সমান থাকতো। শেষ দশ মিনিটে চট্টগ্রাম আবাহনী ম্যাচ থেকে ছিটকে যায়। ০-৩ গোলে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় কোচ মারুফুল হকের দল। ঘরোয়া ফুটবলে সাম্প্রতিক সময়ে দেশের শীর্ষ কোচের টুর্নামেন্টের প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নেওয়ার রেকর্ড নেই।
 
চট্টগ্রাম আবাহনী কাগজে-কলমে অনেক পিছিয়ে বসুন্ধরা কিংসের চেয়ে। কোচ মারুফের বিরুদ্ধে ম্যাচ তাই বাড়তি সতর্ক ছিলেন বসুন্ধরার কোচ অস্কার ব্রুজন। ৮২ মিনিটে গোলরক্ষক লাল কার্ড পাওয়ার আগ পর্যন্ত ম্যাচেই ছিল চট্টগ্রাম আবাহনী। গোলরক্ষক লাল কার্ডে দশ জনে পরিণত হওয়ার পর সব এলেমেলো। ৮৩ মিনিটে ইব্রাহিম ও ৮৮ মিনিটে মতিন মিয়া গোল করলে গ্যালারিতে উল্লাসে মাতে পুলিশ। 

তিন ম্যাচে পূর্ণ নয় পয়েন্ট নিয়ে কোয়ার্টারে বসুন্ধরা কিংস। দুই পয়েন্ট নিয়ে এই গ্রুপের রানার্স আপ বাংলাদেশ পুলিশ। সমান পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও চট্টগ্রাম আবাহনী গোল ব্যবধানে বাদ পড়েছে। দু’টি করে ড্রয়ে সমান দুই পয়েন্ট করে থাকলেও চট্টলার দলটিকে (-৩) গোল গড়ে পেছনে ফেলে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে দিনের প্রথম ম্যাচে নৌবাহিনীর সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করা পুলিশ (-১)। 

দুই পয়েন্ট থাকলেও গোল গড়ে বাদ পড়েছে এই গ্রুপের নৌবাহিনীও (-৬)। এই গ্রুপে দিনের প্রথম ম্যাচে আজ পুলিশ-নৌবাহিনীর সঙ্গে এক গোলে ড্র করেছিল।

কোয়ার্টার ফাইনাল লাইন আপ-

১০ ডিসেম্বর: ঢাকা আবাহনী বনাম সেনাবাহিনী
১০ ডিসেম্বর: স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ বনাম সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব
১২ ডিসেম্বর: বসুন্ধরা কিংস বনাম শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব
১২ ডিসেম্বর: বাংলাদেশ পুলিশ বনাম শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র লিমিটেড

এজেড/এমএইচ