স্বাধীনতা কাপের সেমিফাইনালে উঠেছে বসুন্ধরা কিংস। চতুর্থ ও শেষ কোয়ার্টার ফাইনালে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে অস্কার ব্রুজনের শিষ্যরা। বসুন্ধরা কিংসের সেমিফাইনালের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাব। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব কাগজে-কলমে বসুন্ধরা কিংসের চেয়ে অনেক পিছিয়ে। তবে প্রথমার্ধে শেখ জামাল দারুণভাবে লড়েছিল কিংসের বিপক্ষে। 

এই ম্যাচে দুই দলের ফুটবলাররা মেজাজ হারিয়েছেন ক্ষণে ক্ষণে। রেফারিকে এজন্য কার্ড দেখাতে হয়েছে বারবার। রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিল জামালের ডাগআউট। বিশেষ করে পেনাল্টির আবেদনে রেফারি সাড়া না পাওয়ায় জামালের ডাগআউট উত্তপ্ত ছিল। রেফারি শেখ জামালের ডাগআউটে প্রধান কোচ স্প্যানিশ হুয়ানকে লাল কার্ড দেখান। 

এই কার্ড দেখানোর মিনিটের মধ্যেই কিংসের পক্ষে প্রথম গোলটি করেন মতিন মিয়া। মতিনের গোলটি দুর্দান্ত হয়েছে। মধ্যমাঠের একটু সামনে থেকে বক্সে তার উদ্দেশ্যে বল দেওয়া হয়। তিনি বক্সের মধ্যে দুই ডিফেন্ডারের সঙ্গে লড়াই করেও খানিকক্ষণ বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে পজিশন পরিবর্তন করে জোরালো শটে গোল করেন। 

গোল করার পর কিংসের খেলায় ছন্দ বাড়ে। ব্রাজিলিয়ান জোনাথন ৭৩ ও ৮১ মিনিটে জোড়া গোল করেন। তিন গোলের পর ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় জামাল। পরাজয় যখন নিশ্চিত তখন মেজাজ হারান জামালের গাম্বিয়ান অধিনায়ক সলোমন কিংও। বল না পেয়ে প্রতিপক্ষের ফুটবলারকে অযথা সজোরে লাথি মারেন। রেফারি লাল কার্ড দেখালে জামালের খেলোয়াড়রা চেপে ধরে। পরে অবশ্য কিং এই কার্ড মেনে মাঠ ছেড়েছেন। 

সলোমন মাঠ ছাড়ার পর ইনজুরি সময়ে আরেকটি গোল হজম করে জামাল। ম্যাচের শেষ মিনিটে রানা গোল করলে ০-৪ গোলের বড় হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে এত বড় ব্যবধানে হারের রেকর্ড নেই জামালের। 


সেমিফাইনাল লাইনআপ-

প্রথম সেমিফাইনাল : ঢাকা আবাহনী বনাম সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব (বিকেল সোয়া পাঁচটা) 
দ্বিতীয় সেমিফাইনাল : বাংলাদেশ পুলিশ বনাম বসুন্ধরা কিংস (রাত আটটা) 

*ম্যাচ দুটি আগামী ১৪ ডিসেম্বর কমলাপুর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।

এজেড/এমএইচ