বার্সেলোনা যুব দলের কোচ আলবার্ট বেনেগাসের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। যার হাত ধরেই উঠে এসেছেন লিওনেল মেসি, জাভি হার্নান্দেজ, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তরা। গত ২০ বছর ধরে ক্লাবটির যুব পর্যায়ের কোচ ছিলেন তিনি। মাঝে দায়িত্ব ছাড়লেও বার্সার সভাপতি হিসেবে হুয়ান লাপোর্তা পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার পর আবার ফেরেন তিনি।

যদিও তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো বার্সা একাডেমিতে থাকাকালীন না। ১৯৯০ সালে বার্সেলোনার একটি স্কুলের শারিরীক শিক্ষা বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ওই সময় ছেলে ও মেয়ে শিশুদের যৌন হয়রানির অভিযোগ বেনেগাসের বিরুদ্ধে। এরপর ১৯৯২ সালে বার্সা একাডেমির দায়িত্ব নেন তিনি।

তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই ৬০জন সাক্ষী যোগাড় করা সম্ভব হয়েছে বলে জানা গেছে। একজন নাকি আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগও জানিয়েছেন পুলিশের কাছে। বার্সেলোনা জানিয়েছে, তারা পুলিশের সঙ্গে স্বচ্ছতা নিয়েই কাজ করছে। ক্লাবটির সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা বলেছেন, ভুক্তভোগীদের পাশে থাকবেন তারা।

একটি ধারণকৃত ভিডিওতে লাপোর্তা বলেছেন, ‘বার্সেলোনায় হওয়া ঘটনাটিতে সম্ভাব্য ভুক্তভোগীদের পূর্ণ সমর্থন দেব আমরা। পুলিশের সঙ্গে মিলে বার্সেলোনা পুরোপুরি স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করছে যে এমন কিছু ক্লাবে হয়েছে কি না। আমরা সবসময়ই ওই নাবালক ও তাদের ফ্যামিলিকে বাঁচানোর চেষ্টা করব।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘অন্যায় ও জুলুমের শিকার হয়েছে তাদের পাশে দাঁড়াবো। আমরা এটা লুকাবো না। যদি ক্লাবে কোনো কিছু পাওয়া যায়, আমরা পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করব। সবসময়ই আক্রান্ত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারকে সমর্থন দেবো।’

৭১ বছর বয়সী বেনেগাস ১৯৯১ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বার্সেলোনার যুবাদের কোচ ছিলেন। পরে আবার চলতি বছরের মার্চে দায়িত্বে ফেরেন তিনি। গত সপ্তাহে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে বার্সার দায়িত্ব ছাড়েন তিনি। পরে তার বিরুদ্ধে আসা অভিযোগও অস্বীকার করেছেন বেনেগাস।

তিনি বলেছেন, ‘আমি কখনওই কাউকে কষ্ট দেইনি, যদি দেই তাহলে সেটা ইচ্ছে করে নয়। আমার একজন দত্তক নেওয়া সন্তান আছে, আরও এমন চারজন আছে যাদের আমি লালন-পালন করেছি। আমি বিবেকের কাছে পরিষ্কার। আমি কখনও কাউকে জোর করিনি এবং শিশুদের নিয়ে যৌন লিস্পাও নেই আমার।’

এমএইচ