বার্সেলোনার সময়টা ভালো চলছে না মোটেও। আগে থেকেই দলটা ছিল অর্থনৈতিক সঙ্কটে, সেটা এখন পড়তে শুরু করেছে দলের পারফর্ম্যান্সেও। অর্থনৈতিক এই সমস্যার কারণে বেশ কিছু খেলোয়াড়কে জানুয়ারিতেই বিক্রি করে দিতে চায় কাতালান দলটি। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, সেই তালিকাতে আছে ডাচ মিডফিল্ডার ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংয়ের নামও।

ডাচ মিডফিল্ডার নিজেও দলে থাকতে চান না, বিভিন্ন দল তাকে দলে ভেড়ানোর চেষ্টা করছে, এমন গুঞ্জনও আছে। সেসব যে মিথ্যে নয়, তার প্রমাণ মিলল ডি ইয়ংয়ের বাবা জন ডি ইয়ংয়ের মুখ থেকে। জানালেন, বাজে আবহাওয়ার কারণে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কিংবা বায়ার্ন মিউনিখের প্রস্তাবে রাজি হননি তিনি।

ডাচ সংবাদ মাধ্যম আলখামিন ডাখব্লাদকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন এ কথা। ম্যানইউ, বায়ার্নের সঙ্গে গুঞ্জন চলছে ডি ইয়ংয়ের। তার বাবকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল সে বিষয় নিয়েই। জবাবে জন বলেন, ‘সেখানে প্রায় সময়ই বাজে আবহাওয়া থাকে। সবসময় অবশ্য ফুটবলই প্রাধান্য পাবে। কিন্তু এসব বিষয়ও অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’

এর আগে ইউরোপীয় সংবাদ মাধ্যম জানায়, বার্সেলোনা ইউনাইটেডকে প্রস্তাব দিয়েছিল ফেলিপে কৌটিনিওকে কিনে নেওয়ার, কিন্তু সে প্রস্তাবে সম্মত হয়নি দলটি। এরপর দলটির গুরুত্বপূর্ণ মিডফিল্ডার ফ্রেঙ্কিকে চেয়ে বসে রেড ডেভিলরা। 

ডাচ এই মিডফিল্ডারের সঙ্গে অবশ্য কাতালানদের চুক্তি আছে ২০২৬ সাল পর্যন্ত। ২০১৯ সালের আগস্টে তাকে ৭ কোটি ইউরোর কিছু বেশি অর্থ খরচ করে দলে ভেড়ায় দলটি। এরপর থেকে ডাচ এই মিডফিল্ডার দলের গুরুত্বপূর্ণ এক অংশও হয়ে গেছেন। 

তবে বর্তমান অর্থনৈতিক মন্দা বিচারে বার্সেলোনা তাকে ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছে বেশ, খবর স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যমের। ট্রান্সফারমার্কেট জানাচ্ছে, ইউরোপীয় দলবদলের বাজারে এখনো তার মূল আছে ৯ কোটি ইউরোর কাছাকাছি। সে কারণেই এই ভাবনা কাতালান দলটির।

তবে ফ্রেঙ্কির বাবা জন বলছেন ভিন্ন কথা। বললেন, ‘অবশ্যই আমি জানি যে বার্সেলোনার অর্থ দরকার, ফ্রেঙ্কির জন্য ভালো প্রস্তাব পেলে সেটা দারুণভাবে সাহায্য করতে পারত দলটিকে, কিন্তু আমি এমন কিছু শিগগিরই হতে দেখছি না। যদিও পাঁচটা ইউরোপীয় পরাশক্তি ইতোমধ্যেই যোগাযোগ করেছে তার সঙ্গে।’

এনইউ