রেফারির বাঁশির সঙ্গে সঙ্গে কমলাপুর স্টেডিয়ামে উল্লাস। মারিয়ারা ছুটছিলেন গ্যালারির দিকে। গ্যালারিতে থাকা দর্শকরা মারিয়াদের সাফল্যতে আত্মহারা। খানিকের জন্য কমলাপুর রূপ নিল ফুটবলের আনন্দপুরীতে। 

বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা অনূর্ধ্ব পর্যায়ে অনেক সাফল্য এনে দিয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে। তবে অন্য ট্রফির চেয়ে এবার সাফল্য একটু ভিন্ন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর লগ্নে এই অর্জন অত্যন্ত গৌরবের। কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেন, ‘বাংলাদেশের মেয়েরা স্বাধীনতা ও ৫০ বছরের বিষয়ে জানে। তারা সেটা মনে ধারণ করে খেলেছে।’ 

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দলের অধিনায়ক মারিয়া মান্ডা এর আগেও ট্রফির স্বাদ পেয়েছেন। তবে এবারের ট্রফি তার কাছে একটু ভিন্ন, ‘এই টুর্নামেন্টটি ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরের সময়। আমরা খুব খুশি দেশের এমন একটা মুহূর্তে ট্রফি উপহার দিতে পেরে।’

বাংলাদেশের অধিনায়ক মারিয়া মান্ডার এবার ক্রিসমাসের উৎসব হবে দারুণভাবে, ‘এই ফাইনালের উপর আমার ক্রিসমাসের উদযাপন নির্ভর করছিল। চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় ক্রিসমাস দারুণ হবে।’ 

বাংলাদেশের গোল পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছিল ৮২ মিনিট পর্যন্ত। শিষ্যদের উপর আস্থা রেখেছিলেন কোচ ছোটন, ‘টাইব্রেকারের দিকে গড়াচ্ছিল ম্যাচ তবে আমার বিশ্বাস ছিল আমরা জিততে পারব। ম্যাচটি টাইব্রেকারে গেলে অনিশ্চয়তা বাড়ত।’ 

অনূর্ধ্ব পর্যায়ে বাংলাদেশ এর আগেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তবে মূল সাফে গিয়ে ব্যর্থ হয়। সামনে সেই ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙবে বলে আশা করেন ছোটন, ‘এই মেয়েরা অনূর্ধ্ব ১৫, ১৮’র পর ১৯ এ সফল হলো। এরা ধারাবাহিকভাবে বেড়ে উঠছে। সামনে এরা জাতীয় দলেও সাফল্য আনবে।’ 

এজেড/এমএইচ