একের পর এক সার্কাস চলছে যেন ফেডারেশন কাপে। আজ এ গ্রুপে স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ ও মোহামেডানের ম্যাচে বিচিত্র সার্কাস উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। নির্ধারিত সময় ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র ছিল। খেলা শেষে খেলোয়াড়রা যখন পোশাক পরিবর্তন করে মাঠ ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সেই মুহূর্তে বাফুফের কম্পিটিশন বিভাগ দুই দলের খেলোয়াড়দের টাইব্রেকারে অংশগ্রহণ করতে বলে। 

মোহামেডানের ফুটবল কমিটির সম্পাদক আবু হাসান চৌধুরি প্রিন্স বলেন, ‘আমার ফুটবল সংগঠক ক্যারিয়ারে এমন ঘটনা কখনো দেখিনি। আমাদের বাস ছেড়ে দিচ্ছিল তখন বলে গ্রুপ সেরা নির্ধারণ করতে টাইব্রেকার নিতে হবে। বাস না ছেড়ে মাঠে গিয়ে আবার টাইব্রেকার নেই।’ 

অপর দল স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ অবশ্য ড্রেসিংরুমে ছিল। খেলা শেষ হওয়ার আধঘণ্টা পর টাইব্রেকারের বিষয়টি জানতে পারে স্বাধীনতা, ‘এটা আসলেই খুব দুঃখজনক। টাইব্রেকার এমনিতেই একটি মানসিক পরীক্ষা। এর জন্য আগে থেকে প্রস্তুতি নিতে হয়। ড্রেসিংরুম থেকে যখন খেলোয়াড়রা যখন মাঠ ছাড়বে তখন জানা যায় টাইব্রেকার হবে।’
 
স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইটও বন্ধ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে টাইব্রেকারের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। ৪-৩ গোলে মোহামেডান টাইব্রেকারে জয়লাভ করে। মোহামেডান পাঁচ শটের একটি মিস করে আর স্বাধীনতা দু’টি। এ গ্রুপে মোহামেডান চ্যাম্পিয়ন ও স্বাধীনতা রানার্স আপ। তারা কোয়ার্টার সি গ্রুপের দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।

এ গ্রুপের অপর দল বসুন্ধরা কিংস টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করছে না। ফলে এ গ্রুপের সেরা দল নির্ধারণী ম্যাচও ছিল এটি। সেই ম্যাচে ড্র হওয়ায় বাইলজ অনুযায়ী টাইব্রেকারে গ্রুপ সেরা নির্ধারণ হওয়ার কথা। রেফারি, ম্যাচ কমিশনার ও বাফুফের কম্পিটিশন বিভাগ বিষয়টি ভুলে যায়। দুই দলও বিষয়টি নিয়ে আগে ভাবেনি। সবার অগোচরে চলে যায় বিষয়টি।

নির্ধারিত সময়ে স্কোরলাইন ১-১ ছিল। দুটি গোলই প্রথমার্ধে ও বিদেশিদের। মোহামেডানের মালিয়ান অধিনায়ক সুলেমান দিয়াবাতের গোলে ৩৯ মিনিটে লিড নেয়। পরের মিনিটেই স্বাধীনতা সংঘ ম্যাচে সমতা আনে। বসনিয়ান ফরোয়ার্ড নেডো সমতাসূচক গোল করেন। দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই গোলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। 

এজেড/এনইউ