টানা ১৫ ম্যাচ জিতে গেল বছরটা শেষ করেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। হেতাফের মাঠে যখন পা রেখেছিল, এই পরিসংখ্যানটা তো ছিলোই, শেষ নয় বছরে কলেসিয়াম আলফনসো পেরেজে কখনো না হারার সুখস্মৃতিও ছিল। তবে রিয়ালের সব দর্প চূর্ণ হয়ে গেল ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারের এক ভুলে। হেতাফের কাছে ১-০ গোলে হেরে রিয়াল মাদ্রিদের বছরটা শুরু হলো বিবর্ণভাবে।

চলতি মৌসুমে হেতাফে লিগে গোল করেছে ০.৬৬ গড়ে। সেই দলটাই কিনা লিগের শীর্ষে থাকা রিয়ালের বিপক্ষে গোল পেল ম্যাচের ৯ মিনিটেই। দোষটা অবশ্য ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার এডার মিলিতাওয়ের। বক্সের সীমায় বলটা পেয়েছিলেন, গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়াসহ আশেপাশে বল বাড়ানোর বিকল্পের অভাব ছিল না তার। তবে সে পথে না হেঁটে কারিকুরির ভূত চেপে বসলো যেন তার মগজে, চাপ দিতে এগিয়ে আসা এনেস উনালকে কাটিয়ে বলটা আগে বাড়াতে চেয়েছিলেন তিনি। তাতে যা হওয়ার তাই হয়েছে, বল হারিয়েছেন বিপদসীমায়, উনালের ক্লিনিকাল শটের কোনো জবাবই ছিল না রিয়াল মাদ্রিদ গোলরক্ষকের কাছে। নবম মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে সফরকারীরা।

একটা গোল পাওয়া হয়ে গিয়েছিল, এরপর অবনমন অঞ্চলে থাকা দল যা করে, তাই করে গেছে হেতাফে। চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞায় সামলেছে কারিম বেনজেমাদের তোপ। ম্যাচের তিন চতুর্থাংশ বলের দখলে থেকেও যে কারণে গোলের দেখা পায়নি রিয়াল।

রিয়াল মাদ্রিদে ২০১৮-১৯ মৌসুমের শুরুতে যোগ দিলেও নিজের 'ব্রাজিলিয়ান' তকমার প্রতি সুবিচার করতে পারেননি ভিনিসিয়াস, অন্তত এ মৌসুমের আগ পর্যন্ত তো বটেই৷ তবে চলতি মৌসুমে কার্লো অ্যানচেলত্তির অধীনে যেন নিজেকে নতুন করে খুঁজে পেয়েছিলেন তিনি। সেই ভিনিসিয়াসকেই আজ পায়নি রিয়াল, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মাঠের বাইরে ছিলেন তিনি। তাতেই যেন গোলমুখে আর দিশা পায়নি দলের আক্রমণভাগ। দেওয়া হয়নি হেতাফের গোলের জবাবও।

এক ব্রাজিলিয়ানের অনুপস্থিতির দিনে আরেক ব্রাজিলিয়ানের ভুলে হার, তাতে বছরের শুরুটাও বাজে হলো রিয়ালের৷ তাতেই টানা ১৫ ম্যাচের অপরাজেয় যাত্রাটাও শেষ হলো দলের। তারপরও অবশ্য রিয়ালের খুব একটা সমস্যা হচ্ছে না, অন্তত এখন তো বটেই। এই হারের পরও বর্তমানে ২০ ম্যাচে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে রিয়াল আছে লিগের শীর্ষে, দুইয়ে থাকা সেভিয়া আছে দলটি থেকে ৮ পয়েন্টে পিছিয়ে।

এনইউ