অবিস্মরণীয় এক ম্যাচ জিতেছে ঢাকা আবাহনী। ম্যাচটা দুলছিল পেন্ডুলামের মতো। কখনো সাইফ জেতার অপেক্ষায়, আবার কখনো আবাহনী। এ রকম একটি ম্যাচের নিষ্পত্তি শেষ পর্যন্ত হয়েছে টাইব্রেকারে। পেনাল্টি শ্যুটআউটে আবাহনীর জয়ের নায়ক শহিদুল আলম সোহেল। সাইফের দুটি শট ঠেকিয়ে তিনিই মূলত আবাহনীর জয়ের নায়ক। 

তবে বাফুফের বিচারকরা ম্যাচ শেষে সেরার স্বীকৃতি দিয়েছেন আবাহনীর কোস্টারিকান ফুটবলার ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেসকে। যার গোলে আবাহনী নির্ধারিত সময়ে হার এড়িয়েছে।

ম্যাচ শেষে ম্যাচ রেফারি সুজিত ব্যানার্জী চন্দন কলিন্দ্রেসের হাতে ম্যাচ সেরার ক্রেস্ট তুলে দেন। কলিন্দ্রেস পুরস্কার মঞ্চে সেই ক্রেস্ট গ্রহণ করার মিনিট দুয়েকের মধ্যেই গোলরক্ষক সোহেলের হাতে তুলে দেন। সোহেলও সেটা সাদরে গ্রহণ করেন। 

টাইব্রেকারে সাইফের হয়ে দ্বিতীয় শটটি নিতে এসেছিলেন নাইজেরিয়ান এমফোন উদো। সেই শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে সেভ করেন সোহেল। আবাহনী শুরুতেই টাইব্রেকারে লিড নেয়।

পঞ্চম শট নিতে আসেন অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। তার শটটাও ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে আবাহনীকে ফাইনালে উঠেন। টাইব্রেকার ছাড়াও পুরো ১২০ মিনিটে নিশ্চিত কয়েকটি গোল ঠেকিয়ে আবাহনীকে ম্যাচে টিকিয়ে রেখেছিলেন সোহেল। ম্যাচশেষে স্বীকৃতিটা না মিললেও, ম্যাচসেরার চোখে ম্যাচসেটা তাই ঠিকই বনে গিয়েছেন তিনি।

এজেড/এনইউ