বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের নতুন কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। জাতীয় দলের হেড কোচ হিসেবে এবারই তার অভিষেক হবে। 

জাতীয় দল কমিটির সভায় হ্যাভিয়েরের বিষয়টি উথাপিত হয়। তখন উপস্থিত কমিটির সদস্যবৃন্দ এই কোচের বিভিন্ন বিষয় বিশ্লেষণ করেন। অনেক সদস্য হ্যাভিয়েরকে জাতীয় দলের কোচ হিসেবে মেনে নিতে পারছিলেন না। তাদের দৃষ্টিতে উয়েফা কোচিং সনদ ছাড়া জাতীয় দলের কোচ হওয়ার মতো আর বিশেষ কিছু নেই। 

জাতীয় দল তো নয়-ই, ক্লাব পর্যায়েও হেড কোচ হিসেবে হ্যাভিয়েরের তেমন অভিজ্ঞতা নেই। তিনি মূলত একাডেমিতে বেশি কাজ করেছেন। একাডেমির অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজনকে জাতীয় দলের কোচ কেন? এই প্রশ্ন ছিল জাতীয় দল কমিটির অনেকেরই। 

হ্যাভিয়েরের খোঁজ ও তার বিভিন্ন বিষয়াদি দেখভাল করছিলেন বাফুফের ব্রিটিশ ট্যাকনিক্যাল ডাইরেক্টর পল স্মলি। নতুন কোচকে নিয়ে জাতীয় দল কমিটির সভায় বিভিন্ন জনের প্রশ্নগুলো ছিল পলের প্রতিই। বিভিন্ন সূত্র মতের খবর, পল তেমন সদুত্তর দিতে পারেননি তেমন এবং তার উত্তরে জাতীয় দল কমিটি সন্তুষ্ট হতে পারেনি। 

উদ্ভুত পরিস্থিতিতে জাতীয় দল কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ কোচ নিয়োগের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেননি। তিনি বোর্ড রুমের পাশে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সাথে এই বিষয়ে আলাপ করেন। এই সময় সভা ত্রিশ মিনিটের মতো স্থগিত ছিল। জাতীয় দল কমিটির চেয়ারম্যান কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে আলোচনা করে কমিটির সবাইকে জানান যে, সভাপতি হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার নিয়োগের ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছে।

হেড কোচ নিয়োগের পাশাপাশি সহকারি কোচ ও কোচিং স্টাফ নিয়ে আলোচনা হয়। পল স্মলি একাডেমিতে কাজ করা গোলরক্ষক কোচ বিপ্লব ভট্টাচার্য্যকে গোলরক্ষক কোচ এবং শেখ জামালের সাবেক সহকারী কোচ হাসান আল মামুনকে হ্যাভিয়েরের সহকারি করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এই প্রস্তাবে জাতীয় দল কমিটি সম্মত হয়নি। কয়েকজন সদস্য নতুন কোচের সঙ্গে আগে জাতীয় দলের সহকারি কোচ হিসেবে কাজ করাদের মধ্যে বিবেচনার পরামর্শ দেন। পরবর্তীতে আর এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি।

সেই দিনের সভার জন্য বাফুফের প্রশাসনিক বিভাগের ইস্যুকৃত চিঠিতে ছিল ভার্চুয়াল সভা। কমিটির অনেকে সশরীরে ছিলেন। কয়েকজন ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। ফলে সভাটি যৌথভাবে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অনুমোদনের আগে গণমাধ্যমে নতুন কোচের নাম আসায় কমিটির এক সদস্য বিব্রত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

এজেড/এনইউ