ব্যালন ডি’অরের মঞ্চে দাঁড়িয়ে রবার্ট লেভান্ডভস্কির প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন লিওনেল মেসি। কিন্তু ভোট দেওয়ার সময় কিন্তু ঠিকই তাকে দেননি। ফিফা দ্য বেস্ট ফুটবলার হিসেবে আর্জেন্টাইন অধিনায়কের প্রথম পছন্দ ছিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার জুনিয়র। এমনকি তিনজনকে ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকলেও একটিতেও লেভান্ডভস্কিকে রাখেননি মেসি।

এ নিয়ে ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে সমালোচনা। তার ওপর লেভান্ডভস্কি নিজের দ্বিতীয় পছন্দ হিসেবে মেসিকে রেখেছিলেন, সেটা জানার পর যেন আরও বেশি। তবে মেসি ভোট না দেওয়ায় কোনো আফসোস নেই তার। তাকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফিফা দ্য বেস্ট জেতা এই বায়ার্ন তারকা বলেছেন, মেসি কেন ভোট দেননি জিজ্ঞেস করা উচিত তাকেই। 

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘মেসি কেন ভোট দেননি, সেটি আপনাদের তাকেই জিজ্ঞেস করতে হবে। আমার মনে হয় আমি কোনো ভুল করিনি আর তাকে হয়তো খেলার কারণ বাদ দিয়ে মন খারাপ করে দিয়েছি। এটা তার সিদ্ধান্ত আমাকে ভোট না দেওয়া, আমি সেটাকে সম্মান করি।’

গত মৌসুমে ব্যক্তিগত অর্জনের দিক থেকে লেভান্ডভস্কি ছিলেন অনন্য। গার্ড মুলারের প্রায় ৫০ বছরের পুরোনো রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিলেন জার্মান লিগে ৪১ গোল করে। তবুও তিনি পাননি ব্যালন ডি’অর। সেটা না পেলেও ফের জিতলেন ফিফা দ্য বেস্ট। ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার এই পুরস্কারটি দেওয়া হয় খেলোয়াড়, কোচ ও সাংবাদিকদের ভোটে।

তাই ফিফা দ্য বেস্টকেই সেরা পুরস্কার মনে করেন লেভান্ডভস্কি। তিনি বলেছেন, ‘তারা আসলে জানে সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকার মূল্যটা কত। আর আমি জর্জিনিওকে প্রথম ভোট দিয়েছে কারণ মিডফিল্ডার হয়েও সে অনেক গুরুত্বপূর্ণ গোল করেছে। এটা আসলে বাড়তি কিছুই।’

এখনই অবসর নিয়েও কোনো কথা বলতে চান না বায়ার্ন মিউনিখ তারকা, ‘আমি শীর্ষ পর্যায়ে থাকতে অনেক কিছু করে যাচ্ছি। কিন্তু  এখনও শরীরে নতুন জিনিস খুঁজে পাচ্ছি। অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। ‍যেটা আমাকে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রেখেছে এখন।’

এমএইচ/এটি