এএফসি কাপে গত বছর আবাহনী অংশগ্রহণের সুযোগ পায়নি করোনা ও ভেন্যু জটিলতায়। এবার আবাহনীর চোখ মূল পর্বে। আবাহনীর পর্তুগিজ কোচ ম্যারিও ল্যামোস এবার প্লে অফ পেরিয়ে চূড়ান্ত পর্বে খেলতে আশাবাদী অন্যদিকে বসুন্ধরা কিংসের কোচ অস্কার ব্রুজন চান মূল পর্বের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে।

বসুন্ধরা কিংস গত লিগের চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় সরাসরি মুল পর্বে খেলবে। আবাহনী তৃতীয় হলেও ক্লাবলাইসেন্সিং থাকায় প্লে অফ খেলে মূল পর্বে জায়গা করে নিতে হবে। শেখ জামাল রানারআপ হলেও ক্লাব লাইসেন্সিং না থাকায় আবাহনী সুযোগ পেয়েছে।

ঢাকা আবাহনী ফেডারেশন কাপ ও স্বাধীনতা কাপ জিতে ফর্মে রয়েছে। আবাহনীর পর্তুগিজ কোচ ঘরোয়া পর্যায়ের এ ফর্ম আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বজায় রাখতে চান, ‘আমরা এখন বেশ ছন্দে রয়েছি এ ছন্দটা আমরা এএফসি কাপেও দেখতে চাই।’

ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাত্রা ভিন্ন সেটা বুঝে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বীতার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে আমাদের। এএফসি কাপের প্লে অফের দলগুলো  সবাই শক্তিশালী এবং প্রত্যেকেই মূল পর্বে খেলার মত। আমাদের মূলপর্বে খেলতে হলে অবশ্যই দুটি ম্যাচ জিততে হবে।’  

মালদ্বীপের ভ্যালেন্সিয়া ও ভুটানের পারো এফসির মধ্যকার জয়ীদলের সঙ্গে খেলবে আবাহনী। সেই ম্যাচে জিতলে আবাহনীর পরবর্তী প্রতিপক্ষ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি মোহনবাগানের। গত আসরে এই মোহনবাগানের সঙ্গে ড্র করে বসুন্ধরা কিংসের পরের পর্বে যেতে পারেনি। 

বসুন্ধরা কিংস গত আসরে মালদ্বীপে দুর্দান্ত শুরু করেও শেষ পর্যন্ত মোহনবাগানের সঙ্গে ড্র করে বিদায় নেয়। এজন্য রেফারিংকে দায়ী করে ক্লাবটি। আগের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এই টুর্নামেন্টে অংশ নেবে বসুন্ধরা কিংস।

দলটির স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজন বলেন, ‘আমরা গতবার গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দোরগোড়ায় ছিলাম, রেফারির সিদ্ধান্ত আমরা ছিটকে যাই। আমরা এবার আগের অভিজ্ঞতা থেকে আরো সচেতন থাকব। প্রতিটি দল পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার যোগ্য। প্রত্যেক ম্যাচের ফলাফল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ বসুন্ধরা কিংসের গ্রুপে প্রতিপক্ষ ভারতের গোকুলাম এফসি, মালদ্বীপের মাজিয়া ও প্লে অফ থেকে একটি দল। 

এজেড/এমএইচ/এটি