ম্যানচেস্টার সিটির সবশেষ হারটা ছিল সেই অক্টোবরে। এরপর থেকে প্রায় তিন মাস, পেপ গার্দিওলার দল প্রিমিয়ার লিগ ম্যাচে মাঠে নামতই যেন জয়ের জন্য। প্রতিপক্ষ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, লেস্টার সিটি, বদলে যাওয়া আর্সেনাল, কিংবা শিরোপাপ্রত্যাশী চেলসি, যে-ই হোক না কেন। যে কাজটা অমন জায়ান্ট দলগুলো করতে পারেনি, সেটাই করে দেখাল একদল সন্ন্যাসী। ‘দ্য সেইন্ট’ খ্যাত সাউদাম্পটন নিজেদের মাঠে ১-১ গোলে রুখে দিয়েছে গার্দিওলার দলকে। 

এদিনের ড্রয়ে অবশ্য নিজেদের ভাগ্যকেও দুষতে পারেন গার্দিওলা। তিন তিনটি শট যে গোলে রূপ পায়নি গোলপোস্ট আর ক্রসবারের বাধায়। বলের দখলেও অবধারিতভাবেই আধিপত্য ছিল গার্দিওলার দলের। ৭৪ শতাংশ সময় বলের দখল রেখেছিল নিজেদের কাছে, প্রতিপক্ষ গোলমুখে নিয়েছিল ৫টি শট। যেখানে স্বাগতিকদের ছিল তিনটি। 

তার একটি এসেছিল ম্যাচের সপ্তম মিনিটে। তাতেই এগিয়ে যায় সাউদাম্পটন। প্রতি আক্রমণে উঠে এসে ওরিয়ল রোমেওর বাড়ানো বলে দারুণ এক ফিনিশে গোল করে বসেন কাই ওয়াকার পিটার্স। সেটাই জয়ের স্বপ্ন বুনে দেয় সন্ন্যাসীদের মনে। সেটা আরও বাড়ল যখন ২৩ মিনিটে আবার দলটা সিটির জালে পাঠাল বল। অফসাইডের কাটায় সে গোলটা পায়নি দলটি, তবে শেষতক লড়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণাটা ঠিকই পেয়ে বসেছিল স্বাগতিকরা। সে অনুপ্রেরণাতেই হয়তো, বিরতির কিছু আগে রাহিম স্টার্লিংয়ের জোরালো শট ঠেকিয়ে দেন স্বাগতিক গোলরক্ষক, নস্যাৎ করে দেন পরের চেষ্টাটাও। তাতে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় সাউদাম্পটন।  

সিটি বিরতি থেকে ফিরেই আরও বেশি পিছিয়ে পড়তে পারত। ইয়ান বেদনারেকের হেডটা কোনোক্রমে ঠেকান এডারসন। এর মিনিট সাতেক পর কর্নারে ব্রোহার হেডার গিয়ে প্রতিহত হয় বারে। 

তার সুযোগ নিয়েই ৬৪ মিনিটে সমতা ফেরায় সিটি। কেভিন ডি ব্রুইনার ফ্রি কিকে মাথা ছুঁইয়ে স্বাগতিকদের জয়ের স্বপ্নে বড় ধাক্কাই দেন আইমেরিক লাপোর্ত। এরপর দলটির টানা দুটো শট লেগে ফিরেছে বারে। তাতে জয়ের দেখা আর পায়নি সিটি। ম্যাচ শেষ করেছে ১-১ ড্রয়ে। 

তবে এই ড্রয়ের পরেও অবশ্য খুব একটা সমস্যা হবে না সিটির। ২৩ ম‍্যাচে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে দলটি আছে প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষে। সিটির চেয়ে দুই ম্যাচ কম খেলে ১২ পয়েন্টে পিছিয়ে আছে লিভারপুল, তারা আছে তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে। 

এনইউ