ইরানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের আগেই দলে করোনার ছোবল পড়েছিল। তবে তা পাশ কাটিয়ে ভারতীয় নারী ফুটবল দল খেলেছিল ম্যাচটা, করেছিল গোলহীন ড্র। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ভাগ্যটা অতো সুপ্রসন্ন হলো না। চীনা তাইপের বিপক্ষে ম্যাচের আগে করোনার থাবা এমনভাবেই পড়ল দলে, তাতে ১৩ জনের স্কোয়াডও তৈরি করা হলো না দলটির। তাতেই ম্যাচে দিতে হলো ওয়াকওভার, এএফসি নারী এশিয়ান কাপের বাইলজ অনুযায়ী বিদায়ও নিতে হলো দলটিকে।

এশিয়ান কাপের ‘এ’ গ্রুপে ছিল ভারত। ইরানের প্রথম ম্যাচে ড্রয়ের পর আশালতা দেবীদের সামনে শেষ আটে যাওয়ার সমীকরণটা কঠিনই হয়ে পড়েছিল। জয় ছাড়া অন্য কিছু ভাবার উপায়ই ছিল না। সেই ম্যাচের আগে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। চোটের কারণে দুই ফুটবলার ছিলেন না, এরপর ১২ খেলোয়াড়ের করোনা পরীক্ষার ফলাফল আসে পজিটিভ। উপসর্গ আছে বাকি ফুটবলারদের মাঝেও। জ্বর, সর্দি, মাথা ব্যথা আছে অনেকেরই। ফলে কোচ থমাস দেনার্বি এমন পরিস্থিতিতে দল গড়ার জন্য ন্যূনতম ১৩ জন ফুটবলারও পাননি।

এরপরই আসে এএফসির বিবৃতি। সেখানে বলা হয়, ‘করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ভারত ‘এ’ গ্রুপে চিনা তাইপের বিরুদ্ধে ম্যাচের জন্য ন্যূনতম ১৩ জনের স্কোয়াডও দিতে পারেনি।’ তবে এএফসি এশিয়ান কাপ অবশ্য নির্ধারিত সূচি মেনেই চলবে বলে জানিয়েছে এএফসি।

প্রতিযোগিতার নিয়ম (৪.১ ধারা) অনুযায়ী কোনও দেশ যদি ম্যাচে দল নামাতে না পারে, সেক্ষেত্রে ধরা হবে তারা নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তবে ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে বাতিল হয়ে যাওয়া ম্যাচ নতুন সূচি অনুযায়ী হতে পারে। তবে এআইএফএফ কর্তারা মনে করছেন, দলের পরিস্থিতি যেমন, তাতে নতুন সূচি দিলেও খেলা সম্ভব নয়। সে কারণেই কোনো আবেদন করেনি এআইএফএফ।

এনইউ