বাফুফে ভবনের দ্বিতীয় তলায় মিডিয়ার প্রবেশাধিকার সীমিত গত কয়েক বছর ধরেই। সভা, প্রেস কনফারেন্স কাভার করতে গিয়ে সাংবাদিকরা তৃতীয় তলায় মিডিয়া রুমে অপেক্ষমান সময় কাটাতেন। আবার অনেকে ইভেন্ট কাভার করে সেখানেই নিউজ লিখতেন। এভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসা মিডিয়া রুমটি আগামী দিনে ব্যবহার করবেন জাতীয় দলের নতুন কোচ হ্যাভিয়ের ও তার কোচিং স্টাফরা। 

মিডিয়া রুম থেকে মিডিয়া এক্সিকিউটিভ, মার্কেটিং এক্সকিউটিভ ওই রুমের অভ্যন্তরে ছোট কক্ষে ইতোমধ্যে অফিস করা শুরু করছেন। কোচিং স্টাফদের মিডিয়া রুমে বসানোর জন্য ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। 

মিডিয়া রুম কোচিং স্টাফ রুমে রুপান্তর হচ্ছে বিষয়টি জানতেন না খোদ বাফুফে নির্বাহী সদস্য ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জাকির হোসেন চৌধুরী, ‘বিষয়টি খুবই বিব্রতকর। মিডিয়া রুম স্থানান্তরিত হচ্ছে আমাকে জানানো হয়নি। বিষয়টি জানার পর আমি তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ নিয়েছি। প্রশাসনের কাছে এই সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছি। পাশাপাশি সভাপতি মহোদয়কে অবহিত করেছি। সভাপতি মহোদয় আশ্বস্ত করেছেন নিচে একটি মিডিয়া রুম করার।’

বাফুফে ভবনে প্রেস কনফারেন্স, সভা, সেমিনার প্রায় সব কর্মকাণ্ডই হয় তৃতীয় তলার কনফারেন্স রুমে। তৃতীয় তলায় কনফারেন্স রুম থেকে মিডিয়া রুম কয়েক গজ দূরত্বে। সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে তৃতীয় তলায় মিডিয়া রুম থাকা প্রাসিঙ্গক।

এই অভ্যন্তরীণ রুমে বসছেন বাফুফের মিডিয়া অ্যাক্সিকিউটিভ।


 
বাফুফের একাধিক সূত্রের খবর, ব্রিটিশ টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর পল স্মলির ইচ্ছেতেই তৃতীয় তলায় মিডিয়া রুমে কোচিং স্টাফদের অফিস হচ্ছে। বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে বাফুফের দুই সহ-সভাপতি সহ বিশিষ্ট সংগঠকদের শোকজ, সতর্কবার্তা দিলেও পল স্মলি এ সবের উর্ধ্বে। কিছু দিন আগে এক নারী সাংবাদিকের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেছিলেন। ক্রীড়া সাংবাদিকদের দু’টি সংগঠন এই বিষয়ে বাফুফেকে পৃথক পৃথক চিঠি দিলেও পল স্মলির ব্যাপারে ফেডারেশন কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানা যায়নি।

মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যানের মতো নির্বাহী কমিটির আরো অনেকেই বিভিন্ন বিষয়ে থাকেন অজ্ঞাত। ফেডারশেনের প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গের আচরণ ও কর্মকাণ্ডে বাফুফের নির্বাহী কমিটির অনেকে নানা সময় ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করেন। কেউ কেউ কমিটিতে থেকেও নিরুৎসাহিত হয়ে যাচ্ছেন। 

কয়েক বছর আগেও বাফুফে ভবন ছিল ক্রীড়াঙ্গন সংশ্লিষ্ট অনেকের আড্ডার জায়গা। বিশেষ করে প্রয়াত সহ-সভাপতি বাদল রায়ের কক্ষেই মূলত ফুটবলসহ নানা অঙ্গনের লোকজনের আড্ডায় মুখরিত থাকত ফেডারেশন ভবন। আর এখন অনেক সাবেক তারকা ফুটবলারের প্রবেশাধিকার না পাওয়ার ঘটনা ঘটে কদাচিৎ।

এজেড/এমএইচ