২০১৮ সালে আর্জেন্টাইন জায়ান্ট রিভার প্লেটের হয়ে অভিষেক। এরপর থেকে নিজেকে চিনিয়েছেন দারুণভাবে। তাতে ইউরোপের বড় বড় সব ক্লাবের নজর পড়ে গিয়েছিল তার ওপর। আর্জেন্টাইন সেই ফরোয়ার্ড জুলিয়ান আলভারেজকে শেষমেশ দলে ভেড়াতে পারল ম্যানচেস্টার সিটিই। তবে ‘লা আরানইয়া’ বা ‘মাকড়সা’ নামে খ্যাত এখনই আর্জেন্টিনা থেকে ইউরোপে পাড়ি জমাচ্ছেন না, আধ মৌসুম ধারে থেকে আগামী জুনে যোগ দেবেন সিটিতে। 

শুরুতে শোনা যাচ্ছিল, গোলমুখে নিজেদের আরও শানিত করে তুলতে আগ্রহী বার্সেলোনা দলে ভেড়াতে চায় তাকে। এরপর রিয়াল মাদ্রিদেরও চোখ পড়েছিল তার ওপর। ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এই তালিকায় নাম লেখায় এরপর। শেষ দিকে এসে তার ওপর আগ্রহ দেখায় সিটি। শেষমেশ বাজিমাত করল পেপ গার্দিওলার দলই। 

অনেকদিন ধরেই একজন স্ট্রাইকার খুঁজে বেড়াচ্ছিল ম্যানচেস্টার সিটি। গত দলবদল মৌসুমে টটেনহ্যাম থেকে হ্যারি কেইনকে দলে নিতে নিতেও পারেনি তারা। এরপর আর্লিং হালান্ডেও আগ্রহ দেখিয়েছিল কিছুদিন। অবশেষে আলভারেজে এসে সফলতার মুখ দেখল ইংলিশ দলটি। শুরুতে ২০০ কোটি টাকার কাছাকাছি অঙ্কের গুঞ্জন থাকলেও আর্জেন্টাইন এই ফরোয়ার্ডকে তার কিছু কমেই পেয়ে গেছে সিটি। তাকে দলে ভেড়াতে প্রায় ট্যাক্সসহ ১৮০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে সিটিজেনদের। 

তবে সিটি আর্জেন্টাইন এই ফরোয়ার্ডকে দলে নিলেও জানুয়ারিতেই তাকে স্কোয়াডে যোগ করাচ্ছে না। আগামী ছয় মাস রিভার প্লেটে ধারে থাকবেন তিনি। এরপর আগামী জুনে তাকে দলে আনবে গার্দিওলার দল। 

তার দলে আসায় অবশ্য আর্লিং হালান্ডের পেছনে ছোটা বন্ধ করে দেবে না সিটি। ইউরোপীয় দলবদল বিশেষজ্ঞ ফ্যাব্রিজিও রোমানো জানাচ্ছেন, সিটি তাকে দলে ভিড়িয়েছে মূলত ভবিষ্যতের কথা ভেবে। সে কারণেই তাকে দেওয়া হচ্ছে পাঁচ বছরের চুক্তি, তিনি দলে থাকবেন ২০২৭ পর্যন্ত; আর বর্তমান ফুটবলের তারকা কাউকে দলে ভেড়ানোর ভাবনা বন্ধ করে দেবে না ক্লাবটি। 

গত মৌসুমে রিভার প্লেটের হয়ে আর্জেন্টাইন সুপার লিগে ২১ ম্যাচ খেলে ১৮ গোল করেছেন আলভারেজ। আর্জেন্টিনার অন্যতম সেরা উদীয়মান তারকা হিসেবে ভাবা হচ্ছে তাকে। ইতোমধ্যে জাতীয় দলের হয়ে পাঁচটি ম্যাচও খেলে ফেলেছেন তিনি।

২০১৮ সালে রিভার প্লেটের হয়ে পেশাদার ফুটবলে অভিষেক হয় জুলিয়ান আলভারেজের। ৯৬ ম্যাচ খেলে এখন পর্যন্ত ক্লাবটির হয়ে ৩৬ গোল করেছেন তিনি। 

নিজের প্রথম ক্লাব অ্যাটলেটিকো কালচিনের হয়ে অভিষেকের পরই বলের ওপর বিশেষ দখলের কারণে নজর কাড়েন তিনি, তখন তাকে মনে হতো দুটো নয়, তার চেয়ে বেশি পা দিয়ে বুঝি বলটাকে রাখছেন নিজের দখলে। সে কারণেই তিনি পরিচিত হয়ে ওঠেন মাকড়সা নামে। গার্দিওলার দলে বলের দখলের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়, আলভারেজের বিশেষ এই গুণই হয়তো তার ওপর গার্দিওলার আগ্রহকে বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণে।

এনইউ