ইকুয়েডরের মাঠে ব্রাজিল যেন সাক্ষাৎ নরকের দেখাই পেয়ে বসেছিল গতকাল। ১-১ গোলে ড্র করার ম্যাচে ফাউলের শিকারই হয়েছে ২০ বার।

সেই ম্যাচে আক্রমণভাগে ত্রাসই ছড়াচ্ছিলেন ফরোয়ার্ড মাতিয়াস কুনিয়া। সে কারণেই তার বেশ কয়েকটা হজম করতে হয়েছে তাকে। সেই সব ফাউলের ছবিই ইনস্টাগ্রামে প্রকাশ করেছেন সেলেসাও ফরোয়ার্ড, দেখিয়েছেন দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবলের কদর্য রূপ।

২২ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড গতকাল শুক্রবার সবচেয়ে বড় ফাউলের শিকার হয়েছিলেন ইকুয়েডর গোলরক্ষক আলেহান্দ্রো ডমিঙ্গেজের কাছ থেকে। গোলমুখে প্রায় একাই এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি, তখনই গোলরক্ষক এগিয়ে এলেন, করে বসলেন মারাত্মক এক ফাউল। যার ফলে কুনিয়ার কাঁধে আঁচড় লেগেছিল তার বুটের স্পাইকের। সেই ফাউলের ফলে অবশ্য লাল কার্ড দেখানো হয়েছিল ইকুয়েডর গোলরক্ষককে। 

সেই ফাউলের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে প্রকাশ করেন কুনিয়া। যেখানে দেখা যাচ্ছে কমপক্ষে ছয় জায়গায় ছিলে গেছে তার কাঁধ। যা সাক্ষ্য দিচ্ছে সেই ম্যাচের ভয়ঙ্কর রূপের। তবে ব্রাজিল ফরোয়ার্ড অবশ্য তার ভক্তদের জানিয়েছেন, ‘আমি ভালো আছি।’

ম্যাচে নাটক এখানেই শেষ হয়নি। একই ম্যাচে ব্রাজিল গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকারকে দুই বার লাল কার্ড দেখানো হয়। দু’বারই অবশ্য ভিএআরের কল্যাণে বেচে ফিরেছেন ব্রাজিল গোলরক্ষক।

লিভারপুল গোলরক্ষক প্রথমবার ২৬ মিনিটে এনার ভ্যালেন্সিয়াকে মারাত্মক ফাউল করে বসেন। তখন লাল কার্ড দেখালেও ভিএআর দেখে এসে সিদ্ধান্ত বদলে তাকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। যোগ করা সময়ে প্রায় একই ঘটনা ঘটেছে আবার। সেবারও ভিএআর দেখে এসে সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেন রেফারি। তবে সেবার হলুদ কার্ড দেখেননি তিনি, কারণ বলে দখল প্রথম পড়েছিল তারই।

সব নাটকের পর সেই ম্যাচটা শেষ হয়েছে ১-১ গোলে। তাতে ব্রাজিলের অবশ্য খুব একটা সমস্যা হচ্ছে না। বিশ্বকাপ বাছাই নিশ্চিত করে ফেলেছে কোচ তিতের শিষ্যরা। আর ইকুয়েডর আছে তালিকার তৃতীয় স্থানে, আছে বিশ্বকাপে উতরে যাওয়ার খুব কাছেও।

তিতের দল আগামী বুধবার সকালে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামবে। আর কোচ গুস্তাভ আলফারোর দল ইকুয়েডর বিশ্বকাপের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে যেতে নামবে পেরুর বিপক্ষে।

এনইউ