বসুন্ধরা কিংসকে হারিয়ে উচ্ছ্বসিত স্বাধীনতা কেসি/বাফুফে

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ শুরুতেই দেখল অঘটন। হ্যাটট্রিক শিরোপা মিশনের প্রথম ম্যাচেই হোঁচট খেয়েছে বসুন্ধরা কিংস। তাও আবার নবাগত স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘের কাছে! টঙ্গীর শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে প্রিমিয়ার লিগে অভিষিক্ত স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘের বিপক্ষে ১-২ গোলে হারে বসুন্ধরা কিংস। 

রেফারি আলমগীরের শেষ বাঁশির সঙ্গে সঙ্গে স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘের উল্লাস। অন্য দিকে বসুন্ধরা কিংসের ফুটবলাররা রেফারিকে ঘিরে ধরেন। পরিস্থিতি বেগতিক হওয়ার আগেই পুলিশ মাঠে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। 

টঙ্গীর শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে লিগের প্রথম গোলটি যে হয়েছে, তাতে লেগে আছে সন্দেহের কালিমা। স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘের আক্রমণ কিংসের বক্সে ডিফেন্ডারের হাতে লাগে। রেফারী আলমগীর পেনাল্টির বাঁশি বাজান। কিংসের ফুটবলাররা বক্সের মধ্যে প্রতিবাদ জানান। রেফারি তার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। স্বাধীনতার বসনিয়ান ফুটবলার নেডো পেনাল্টি থেকে গোল করেন। সেই গোল নিয়েই যত ক্ষোভ বসুন্ধরার ফুটবলারদের।

সেই বিতর্কিত গোলে এগিয়েই প্রথমার্ধ শেষ করে স্বাধীনতা কেসি। বিরতি থেকে ফিরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে দলটি। স্বাধীনতার হয়ে গোলটি করেন রাসেল আহমেদ। 

২ গোলে পিছিয়ে পড়েও ম্যাচে ফেরার আশা ছাড়েনি বসুন্ধরা কিংস। ৪৮ মিনিটে ভ্রানিয়েসের ফ্রিকিক ঝাঁপিয়ে পড়ে কোনোক্রমে রক্ষা করেন স্বাধীনতার গোলরক্ষক সারোয়ার জাহান।

তবে ৭৩ মিনিটে আর দলের জাল অক্ষত রাখা সম্ভব হয়নি তার। তৌহিদুল আলম সবুজের গোলে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয় কিংস। বাম দিক থেকে ইয়াসিন আরাফাতের বাড়ানো বল থেকে বক্সের ভেতরে থাকা সবুজের মাথা ছুঁয়ে আছড়ে পড়ে জালে। ম্যাচের বাকি সময় কিংস গোলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। ফলে মৌসুমের প্রথম ম্যাচে অঘটনের হার সঙ্গী হয় লিগের টানা দুই বারের চ্যাম্পিয়নদের।

এজেড/এটি