একটা সময় ‘ক্লাবের মেসি’ নামেই বেশি খ্যাত ছিলেন লিওনেল মেসি। এখন যেন সেটা গেছে একেবারেই উল্টে। আর্জেন্টিনার হয়ে প্রতিটা মিনিটে মাঠে থাকতে মরিয়া থাকেন তিনি। গত বছর ২৮ বছর পর দেশকে এনে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক শিরোপাও। ব্রাজিলকে তাদের মাটিতে হারিয়ে কোপা আমেরিকা জিতেছে আলবিসেলেস্তেরা।

দেশের হয়ে প্রতিটা ম্যাচ খেলতে মেসির মরিয়া ভাবও স্পষ্ট হয়েছে। তবে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার মারিও ক্যাম্পাস মনে করেন, প্রতিটা ম্যাচে খেলা উচিত নয় মেসির। মনে করিয়ে দিয়েছেন, মেসিও মানুষ। তাকে ফ্রেশ রাখাটা দলের জন্য জরুরি মনে করেন ক্যাম্পাস।

আর্জেন্টাইন এক রেডিওকে তিনি বলেছেন, ‘তার প্রতিটা ম্যাচ খেলা উচিত না। সবার মধ্যে মেসিই সেরা কিন্তু সে মানুষ। তার শরীর এতটুকু নিতে পারবে না। বিশেষত এই বয়সে। স্ক্যালোনির তাকে বুঝাতে হবে। যদি দল চলতে তাকে- তার যে ব্যক্তিত্ব, যেকোনো সময়ই কাজে লাগানো যাবে। ভেতরে, বাইরে- তাকে সবসময় ফ্রেশ থাকতে হবে।’

মেসিকে কোন ম্যাচগুলোতে বসানো উচিত এ নিয়ে বলেছেন, ‘জাতীয় দল খুব বেশি প্রয়োজন না, এমন ম্যাচগুলো খেলতে পারে। বেঞ্চ থেকে এনেও তাকে খেলানো যায়। কোচ নির্ধারণ করবে কতক্ষণ খেলবে পাঁচ মিনিট নাকি দশ মিনিট।’

অনেকদিন পর এবারের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে মেসিকে ছাড়া মাঠে নেমেছিল আর্জেন্টিনা। চিলি ও কলম্বিয়ার বিপক্ষে দুটো ম্যাচেই জিতেছে লিওনেল স্ক্যালোনি শিষ্যরা। মেসিকে ছাড়া আর্জেন্টিনাকে কেমন দেখলেন? ক্যাম্পাস জানালেন, পছন্দ হয়েছে তার।

তিনি বলেন, ‘এটা একেবারেই আলাদা রকমের হয়েছে। তার খেলার ধরণটাও আলাদা। আমি (মেসি ছাড়া খেলা) পছন্দ করেছি। কারণ বাকিরা যে ধরনের ব্যক্তিত্ব দেখিয়েছে। যখন আপনি একটা খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভরশীল হয়ে যাবেন, প্রতিপক্ষ জানবে তাদের কাকে পাহাড়া দিতে হবে।’

আসন্ন বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার সম্ভাবনা নিয়ে ক্যাম্পাসে বলেন, ‘স্ক্যালোনি খুব ভালো, জানে কী চায়। আমি কোনো দলকেই বিশ্বকাপের ফেভারিট হিসেবে দেখছি না। কিন্তু আর্জেন্টিনা অনেক দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। দেখা যাক আমরা শেষ পর্যন্ত তৃতীয় বিশ্বকাপ পাই কি না।’

এমএইচ