শেষ কয়েক বছর ধরেই যেমন পারফর্ম করে চলেছেন, তাতে প্রতিপক্ষের মগজে মোহামেদ সালাহকে নিয়ে বাড়তি ভাবনাটা থাকাই স্বাভাবিক। লিভারপুলের মিসরীয় উইঙ্গার অবশ্য চলতি আফ্রিকান নেশন্স কাপের লড়াইয়ে নিজের সেরা ছন্দে নেই। তবু আফ্রিকান শ্রেষ্ঠত্বের ফাইনালের আগে সেনেগালকে একটু বেশিই সতর্ক দেখা গেল সালাহকে নিয়ে। অধিনায়ক কালিদু কুলিবালি যেমন বলেই বসলেন, সালাহকে বলই ছুঁতে দেবে দেবে না তার দল।

আফ্রিকান নেশন্স কাপের ফাইনালে আজ সালাহর মিসরের মুখোমুখি সেনেগাল। তার আগে সেনেগাল কোচ আলিউ সিসে দল মিসরকেই বেশি প্রাধান্য দিলেন। বললেন, ‘আমরা মিসরীয় দলটা সম্পর্কে জানি। দলটার চারিত্রিক দৃঢ়তা বেশ। এরা এমন একটা দল, যারা নিজেদের দর্শন, খেলার ধরন মেনে খেলে। আমি যেমন বলি, তারাই বর্তমানে আফ্রিকান মহাদেশের সবচেয়ে বেশি আফ্রিকান আরব দল। কারণ তাদের দলে জামালেক (মিসরীয় প্রিমিয়ার লিগের দলে) খেলা খেলোয়াড়ের সংখ্যা বেশ। আফ্রিকান বাস্তবতার কথা ধরলে তাদের বেশ অভিজ্ঞতা আছে।’

সেসব ছাপিয়ে সেনেগাল কোচ দলকে দীক্ষা দিলেন নিজেদের কাজে মনোযোগ দেওয়ার। বললেন, ‘আমরা কী করতে চাই, সেটাতেই আমাদের যত মনোযোগ এখন। আমরাও এটা করতেই বেশি আগ্রহী। মিসর কী করছে, তাতে মনোযোগ দিতে চাই না।’

তবে কুলিবালির কথাতেই বেরিয়ে এলো, কোচ যতই বলুন ‘নিজেদের কাজে মনোযোগ’ দিচ্ছে দল, সালাহকে নিয়ে বাড়তি প্রস্তুতি রেখেছে দলটি। সেনেগাল অধিনায়ক বললেন, ‘মোহামেদ সালাহ একজন অসাধারণ খেলোয়াড়। আমরা সবাই তাকে চিনি। যখন সে ইতালির রোমাতে খেলত, তখন তার বিপক্ষে খেলেছি আমি। ন্যাপোলি ও লিভারপুলে খেলার সময় আমরা একে অপরের বিপক্ষে অনেক ম্যাচে খেলেছি। তাই সে আমার চেনা একজন খেলোয়াড়ই।’

কী হবে সেই কৌশলটা? কুলিবালি বললেন, ‘আমি একে সালাহ-প্রতিরোধী পরিকল্পনা থেকেও বেশি কিছু হিসেবে দেখছি। সে তার দলে একটা প্রভাব বিস্তার করে। সেটাই কমাতে হবে আমাদের। তাকে বলই ছুঁতে দেওয়া চলবে না, যতটা সম্ভব কমাতে হবে বিষয়টা। আমরা জানি সে এমন একজন খেলোয়াড়, যে যে কোনো মুহূর্তেই ব্যবধান গড়ে দিতে পারে। আর তাই একজন ডিফেন্ডার হিসেবে আমি বলব, পুরো ম্যাচেই আমাদের মনোযোগ ধরে রাখতে হবে। তার ওপর মনোযোগ ধরে রাখতে হবে, বাকিদেরও ভুলে যাওয়া চলবে না। কারণ আমরা যদি পুরো মনোযোগটা সালাহতেই ধরে রাখি, তাহলে সেখানে অন্য অনেক খেলোয়াড় আছে, যারা দৃশ্যপটে চলে আসতে পারে। আর তাই সালাহ আর মিসরের বিপক্ষে খেলতে দলগত চেষ্টা নিয়েই খেলতে হবে আমাদের।’

এনইউ