২০০৬ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের নায়ক তিনি। আর্সেনালের বিপক্ষে ক্যাম্পবেলের গোলে পিছিয়ে পড়েছিল বার্সেলোনা। পরে সাম্যুয়েল ইতো ও বেল্লাত্তির গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কাতালান ক্লাবটি। ২০০৪ সালে ভিয়ারিয়াল থেকে বার্সায় যোগ দিয়েছিলেন বেল্লাত্তি।

তখনই তরুণ ফুটবলার হিসেবে সিনিয়র দলের সঙ্গে অনুশীলন শুরু করেন বর্তমান বিশ্বের অন্যতম বড় তারকা লিওনেল মেসি। এখনও আর্জেন্টাইন তারকার সঙ্গে প্রথম অনুশীলনের স্মৃতি মনে আছে বেল্লাত্তির। নিজের সেরা সময়েও কীভাবে মেসিকে আটকাতে ব্যর্থ হয়েছেন সেসব শুনিয়েছেন গোল ডট কমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে।

তিনি বলেছেন, ‘যখন আমি প্রথম মেসির বিরুদ্ধে দাঁড়াই, এর আগে তার সম্পর্কে শুনিনি। ইনিয়েস্তা আমার কাছে এসে বলল মেসির কথা শুনেছি কি না, আর আমাকে সতর্ক থাকতে বলেছিল কারণ মেসি নাকি খুব ভালো। আমি তখন ক্যারিয়ারের সেরা সময়ে আছি। কিন্তু যখন সে অনুশীলনের সময় বল পেত, কে তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে ভাবতো না।’

‘ওয়ান-অন-ওয়ান অবস্থায় যখন আমি তাকে ট্যাকেল করব বলে ভেবেছি- তখন দেখি সে ইতোমধ্যেই আমাকে হারিয়ে চলে গেছে। আমি তাকে লাত্থি মারতে চেয়েও পারিনি। কারণ তাকে আমি ধরতেই পারিনি। একাডেমি থেকে এসেই একটা খেলোয়াড়ের এতটা ভালো হওয়া স্বাভাবিক কিছু না।’

এরপর অনেক সময় পেরিয়ে গেছে। মেসিও নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। এরপর বার্সাও ছেড়েছেন। তিনি কাতালান ক্লাবটি ছেড়ে যাওয়ার পর ভুগছে তারা। তবে এই মুহূর্তে বার্সার জন্য নিজের সাবেক সতীর্থ জাভির ওপরই আস্থা রাখছেন বেল্লাত্তি। 
 
তিনি বলেছেন, ‘আমরা জানি মেসি এই ক্লাবটার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সে এমন একজন যে ১৪ বছর ধরে উন্নতি করেছে। মনে হয় এটা ফুটবলে প্রায় অসম্ভব মেসি যা করেছে। কিন্তু ক্লাবকে জাভি, লাপোর্তা ও তরুণদের এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’

জাভি কোচ হিসেবে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবেন এমন বিশ্বাস বেল্লাত্তির, ‘জাভি, খেলোয়াড় হিসেবে, পুরো পৃথিবীকে দেখিয়েছে সে আলাদা। আমার মনে হয় কোচ হিসেবেও একই কাজ করবে। সে এমন একজন, যাকে ক্লাবের সবচেয়ে বেশি দরকার এই মুহূর্তে। জাভি ও লাপোর্তাই এই মুহূর্তের সঠিক দুই ব্যক্তি।’

এমএইচ/এটি