ফরাসি ফুটবলার কুর্ত জুউমা রীতিমতো তোপের মুখেই পড়ে গেছেন। ঘরের পোষা বিড়ালকে লাথি মেরেছিলেন তিনি, সেটা আবার তার ভাই ইয়োহান প্রকাশ করে দেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, যার ফলে শুরু হয় প্রতিবাদ। ফলে বিপুল পরিমাণ অর্থ জরিমানা দিতে হয়েছে তাকে। এরপর নিজের পৃষ্ঠপোষক খুইয়েছেন তিনি, একই কারণেতার ক্লাব ওয়েস্ট হ্যামের পৃষ্ঠপোষকও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে ক্লাবটি থেকে। 

কী করেছিলেন জুউমা? ঘটনার শুরু গেল মঙ্গলবার। খেলার ছলে ঘরের মধ্যে পোষা বিড়ালকে বুক সমান উচ্চতা থেকে ছেড়ে দিয়ে ফুটবলের মতো করে ভলি করেছিলেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, তার পরিবারের ছোট একজন সেই বিড়ালটাকে তার কাছে নিয়ে এলে তিনি সেটাকে চড় মেরেছেন কষে, এরপর তার হাতে থাকা জুতোও ছুঁড়ে মেরেছেন বিড়ালটার দিকে। ঘটনাটা প্রকাশ করেছেন তার ভাই ইয়োহান, স্ন্যাপচ্যাটে তার প্রকাশ করা ভিডিওটাই বিপাকে ফেলে দিয়েছে ওয়েস্ট হ্যাম ডিফেন্ডারকে।

সেই ভিডিওটা ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ইংল্যান্ডের প্রাণী অধিকার রক্ষা সংগঠন তো আছেই, ফুটবলভক্তরাও তার এই কাণ্ডের প্রতিবাদ করেছেন। তার বিচারের দাবিতে পিটিশনও দাঁড়িয়ে গেছে, তাতে সায় আছে প্রায় দেড় লাখ মানুষের। এরপরই নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় পুলিশ। এসেক্স কাউন্টির পুলিশ নেমেছে তদন্তে। তার বাসা থেকে বিড়ালগুলোকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে গেছে দেশটির প্রাণী অধিকার রক্ষার সংগঠন। 

ক্লাব অবশ্য শুরু থেকে নিরপেক্ষ অবস্থানেই ছিল। কিন্তু ওয়াটফোর্ডের মাঠে ম্যাচে ওয়েস্ট হ্যাম তাকে মাঠে নামিয়েছে বটে, কিন্তু এরপর প্রায় তিন কোটি টাকা জরিমানাও করেছে দলটি। 

এরপর আরও ক্ষতির মুখে পড়েছেন ফরাসি এই ফুটবলার। জুউমার পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস এক বিবৃতির মাধ্যমে তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। অ্যাডিডাস জানিয়েছে, ‘তদন্ত শেষে আমরা নিশ্চিত করছি যে, জুউমা আর অ্যাডিডাসের চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড় নন।’

ফরাসি এই ফুটবলার অবশ্য পরে সবার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। তবে ঘটনার গতিবিধি বলছে এতেই পার পাবেন না তিনি। আরও বড় শাস্তির মুখেও পড়তে হতে পারে তাকে।

এনইউ