বাংলাদেশের ফুটবলে রেফারিংয়ের মান ও সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন অনেক দিন থেকেই। মান ও সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনা করলেও এই রেফারিদের পারিশ্রমিক নিয়ে তেমন আলোচনাই হয় না। দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের একটি ম্যাচ পরিচালনা করলে মাত্র ২৪০০ টাকা সম্মানী পান রেফারিরা। সেই ফিও আবার বকেয়া থাকে মাসের পর মাস। 

জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ, গত আসরের লিগ ও চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ (দ্বিতীয় পর্ব), এই মৌসুমের ফেডারেশন কাপ, স্বাধীনতা কাপ মিলিয়ে রেফারিদের বাফুফের কাছে বকেয়া ছিল প্রায় কোটি টাকার কাছাকাছি। শনিবার বাফুফে রেফারিদের বরাবর ৪৪ লাখ টাকার চেক ইস্যু করেছে। ৪৪ লাখ টাকার মধ্যে ৪০ লাখ টাকা জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ ও ৪ লাখ টাকা নারী ফুটবল লিগের। প্রায় অর্ধকোটি টাকা পেলেও আরো প্রায় অর্ধ কোটির মতো বকেয়া রয়েছে রেফারিদের। 

দেশব্যাপী হওয়া জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ মূলত জাতীয় রেফারিরা পরিচালনা করেছেন। দেশের শীর্ষ রেফারিরা তেমন ম্যাচ করেননি জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের। রেফারিদের অনুকূলে ৪৪ লাখ টাকা বরাদ্দ হলেও গত লিগের দ্বিতীয় পর্ব এখনো বকেয়া থাকায় শীর্ষ রেফারিরা এখনো সম্মানি পাননি। এই বকেয়া চলতি মাসের মধ্যেই পরিশোধের চেষ্টা করছে বাফুফে এমনটাই জানা গেছে। 

রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্লাবগুলোর সমালোচনার প্রেক্ষিতে বিদেশি রেফারি আনার পরিকল্পনা চলছে। এ নিয়ে দেশীয় রেফারিদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ রয়েছে। কোড অফ কন্ডাক্টের ভয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শীর্ষ রেফারি বলেন, ‘করোনাকালে বিদেশ থেকে রেফারি আনলে চড়া বিমানভাড়া দিতে হবে। এরপর তারা আবাসিক খরচ বাবদও ভালো অর্থ যাবে। ম্যাচ প্রতিও ভালো সম্মানী যাবে। অথচ সব মিলিয়ে আমরা পাই যৎসামান্য।’ 

এজেড/এমএইচ/এটি