বাংলাদেশের ফুটবলে নতুন দিগন্তের সুচনা করেছে বসুন্ধরা কিংসের হাত ধরে। বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে ফুটবল স্টেডিয়াম ছাড়াও ক্রিকেট, ভলিবল, হকি, টেনিস কোর্টও থাকবে৷ সেই কমপ্লেক্সের সঙ্গে একাডেমিও থাকবে। একাডেমিতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা রয়েছে, ‘স্পোর্টস কমপ্লেক্সে ছেলে ও মেয়ে উভয়ের জন্য পৃথক একাডেমি থাকবে। সেই একাডেমিতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ফ্রাঞ্চাইজ নিতে চেষ্টা করছি’ -বলেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। 

কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ করে বসুন্ধরা ক্রীড়া কমপ্লেক্স হচ্ছে। ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে এই বিনিয়োগের ফিরতি আয় হওয়ার সম্ভাবনা কম। এরপরও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এই বিনিয়োগ বলে মন্তব্য করেন, ‘সব কিছুতে মুনাফা হবে না। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নের জন্য এই পদক্ষেপ। কমপ্লেক্সের মাধ্যমে এখানে উন্নয়ন হবে।’ বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়ন ও বিশেষত ক্রিকেটের সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অবদান দিয়ে তিনি বলেন, ‘আজ ক্রিকেটে যে পর্যায়ে পৌঁছেছে এর পেছনে অবদান প্রধানমন্ত্রীর। তিনি সব সময় ব্যবসায়ীদের খেলায় বিনিয়োগের ব্যাপারে উৎসাহ করেন।’

বসুন্ধরা কিংস ক্রীড়াঙ্গনে খুবই নতুন। সেই ক্লাব এই কমপ্লেক্স করেছে। আবাহনী-মোহামেডানও এ রকম করবে বলে ধারণা আকবর সোবহানের, ‘যতটুকু জানি আবাহনী কাজ শুরু করেছে। মোহামেডানও হয়তো করবে। সামনে আরো অনেকেই করবে।’

বসুন্ধরা কিংস বসুন্ধরা গ্রুপের দল। বসুন্ধরা গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছে প্রিমিয়ার লিগের অন্য দুই দলেও। সেই দুই দলের দায়িত্বে সোবহানের দুই ছেলে। নিজেদেরই তিন দল এই দলগুলোর মধ্যে খেলা হলে তিনি কোন দল সমর্থন করেন এই প্রশ্নের উত্তরে আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, ‘মাঠে যারা ভালো খেলবে তারাই জিতবে। এখানে সার্ভাইভাল ইজ দ্য ফিটেস্ট।’

প্রিমিয়ার লিগের ফুটবলে বসুন্ধরার নিজের দল ও গ্রুপের কয়েকটি দলে পৃষ্ঠপোষকতা থাকলেও সমর্থক হিসেবে তার আবাহনীর প্রতি টান, ‘আগে আবাহনী সমর্থন করতাম। আমার বড় ভাই (আব্দুস সাদেক) আবাহনীর প্রথম ফুটবল অধিনায়ক। হকি দলেরও অধিনায়ক ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর অনেকে আবাহনীতে যেত না। সাদেক ভাইয়ের বাসায় আবাহনীর মিটিং ও কার্যক্রম হতো।’

এজেড/এটি