হকির আম্পায়াররা তাদের অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। হকির স্বার্থে খেলা পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গতকাল মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে ফেডারেশনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে শীর্ষ আম্পায়ারদের এক সৌজন্য সাক্ষাতে এমনই আলোচনা হয়েছে। 

দেশের অন্যতম শীর্ষ আম্পায়ার শাহবাজ আলী বলেন, ‘হকির স্বার্থে আমরা অবস্থান থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছি। সভাপতি স্যারের সঙ্গে কথা বলতে পারিনি। ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, সহ-সভাপতিদের সাথে কথা হয়েছে। ফেডারেশন আমাদের বিষয়টি দেখার আশ্বাসও দিয়েছে।’ 

আম্পায়াররা তাদের সম্মানী বৃদ্ধি ও হোটেলে আবাসনের ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছিলেন। ফেডারেশন এই দাবি না মানায় আম্পায়াররা ফ্র্যাঞ্চাইজি হকি লিগে বাঁশি না বাজানোর সিদ্ধান্ত নেন।

লিগ শুরুর দুই দিন আগে আম্পায়ারদের এমন সিদ্ধান্তে বিব্রত হয় ফেডারেশন। শীর্ষ আম্পায়ারদের বদলে অন্য আম্পায়ারদের দিয়ে খেলা পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ফেডারেশন। শীর্ষ আম্পায়াররা এখন তাদের অবস্থান থেকে সরে আসায় তাদের দিয়ে সামনে ম্যাচ পরিচালিত হবে। 

আম্পায়াররা যৌক্তিক দাবি করলেও লিগের আগে কঠোর অবস্থানে যাওয়ায় দুই পক্ষের মধ্যে একটি দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। এজন্য গতকাল আম্পায়াররা ফেডারেশনকে নিজেদের ভুল স্বীকার বা ক্ষমা চেয়ে চিঠি দিয়েছে। এই চিঠির জন্য আবার দুই-তিন জন আম্পায়ার বিব্রত। সাত জন শীর্ষ আম্পায়াররা শুরুতে এক অবস্থানে থাকলেও পরবর্তীতে তাদের মধ্যে খানিকটা ভাঙন ধরে। 

আজ সুলতান জহর কাপের ফাইনালে বাঁশি বাজাবেন বাংলাদেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন আম্পায়ার সেলিম লাকী। দেশের বাইরে থেকে তিনি বলেন, ‘ভারত-অস্ট্রেলিয়ার ফাইনাল ম্যাচ করব। সবার কাছে দোয়া চাই। দেশ থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে আম্পায়ারিং নিয়ে কথা হচ্ছে। হকির স্বার্থে আম্পায়াররা আম্পায়ারিং করবে।’ 

এই উদ্ভূত পরিস্থিতির ফলে আম্পায়ার্স বোর্ডের কমিটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। আম্পায়ারদের দাবি ছিল সেই কমিটি পুনঃবহাল। ফেডারেশন সেই দাবি রাখেনি। ফলে নতুন গঠিত আম্পায়ার্স বোর্ডের কমিটিই ম্যাচে আম্পায়ার বরাদ্দ করবে। 

এজেড/এনইউ