শর্তসাপেক্ষে ‘মুক্ত’ হচ্ছেন হকির সেরা আম্পায়ার
দেশসেরা আম্পায়ার সেলিম লাকীর সঙ্গে হকি ফেডারেশনের একটি ‘স্নায়ুযুদ্ধ ’চলছিল। সেই যুদ্ধ অনেকটা অবসানের পথে। আগামীতে হকি ফেডারেশন আয়োজিত ও অনুমোদিত টুর্নামেন্টে সেলিম লাকীকে দেখা যাবে।
হকি ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু ইউসুফ বলেন,‘সেলিম লাকীসহ আরো দুই জন রয়েছে যাদের ব্যাপারে আমরা আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তারা শর্তসাপেক্ষে আম্পায়ারিং করতে পারবেন।’
বিজ্ঞাপন
শর্তসাপেক্ষের বিষয়টি ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ব্যাখ্যা দিয়েছেন এভাবে,‘তারা নিঃসন্দেহে দেশের হকির এবং ফেডারেশনের সম্পদ। দেশ ও দেশের বাইরে তারা বাশি বাজালে সেটা ফেডারেশনের অনুমতি নিয়েই করতে হবে। অনুমতি বা অবহিতকরণ ছাড়া খেলা পরিচালনা করলে ফেডারেশন সেই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার রাখবে’।
সেলিম লাকী গত বছর নভেম্বরে আন্তর্জাতিক একটি টুর্নামেন্টে আম্পায়ারিং করেছেন। সেই টুর্নামেন্টের ফাইনালেও ছিলেন তিনি। এশিয়ান হকি ফেডারেশন তাকে আমন্ত্রণ জানালেও হকি ফেডারেশনকে না জানিয়ে তিনি সেই টুর্নামেন্টে গিয়েছিলেন। এজন্য দেশে ফিরে তাকে শোকজ পেতে হয়েছে। সেলিম লাকী সেই শোকজের উত্তর দুই দফা দিতে হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
দুই দফা উত্তর দিলেও হকি ফেডারেশন সেলিম লাকীকে কোনো ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব দেয়নি। বাংলাদেশের হকির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হয়েছে ফ্রাঞ্চাইজ হকি। সেই টুর্নামেন্টে দেশি-বিদেশি অনেকে আম্পায়ারিং করলেও দেশের সেরা আম্পায়ার সেলিম লাকী বাশি বাজাতে পারেননি। ফ্রাঞ্চাইজ হকির পর যুব হকি সহ অন্য প্রতিযোগিতাতেও তিনি অনুপস্থিত ছিলেন।
গত মাসে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় হকি প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আম্পায়ারিং করেছিলেন সেলিম লাকী। বিশ্ববিদ্যালয়ের হকি টুর্নামেন্ট ফেডারেশনের অধিভূক্ত নয় এমনটা ভেবে আম্পায়ারিং করলেও সেই জন্য আরেকটি শোকজ পেয়েছিলেন লাকী ও আরো দুই জন। সেই শোকজেরও উত্তর দিয়েছেন তিনজনই।
আগামীকাল মঙ্গলবাার দুপুরে আম্পায়ারদের হকি ফেডারেশনে আসতে বলা হয়েছে। ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পরই মূলত শর্তসাপেক্ষের চিঠি পাবেন তারা।
এজেড/এফআই