ঢাকা প্রিমিয়ার বিভাগ হকি লিগ মানেই নানা বিচিত্র ঘটনা। গতকাল মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচ সম্পূর্ণ শেষ হওয়ার আগেই আজাদ স্পোর্টিং ও বাংলাদেশ স্পোর্টিং পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে। যা হকি অঙ্গনে বিশেষ এক ঘটনাই৷

আজাদ স্পোর্টিং ও বাংলাদেশ স্পোর্টিং ম্যাচ সংশ্লিষ্ট ও উপস্থিত অনেকের তথ্য মতে ম্যাচের শেষ কোয়ার্টার অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে লিগ কমিটির সম্পাদক খাজা তাহের লতিফ মুন্নার দাবি, 'শেষ কোয়ার্টার শুরু হয়েছিল অল্প কয়েক মিনিট বাকি ছিল। আলোর স্বল্পতা ও রমজানের প্রথম শুক্রবার ইফতার হওয়ায় আর খেলা হয়নি। খেলা ২-২ গোল অবস্থায় ছিল। উভয় দলই ড্র মেনে নিয়ে খেলা শেষ করেছে।'

মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে আগে ফ্লাডলাইট ছিল না। ২০১৭ সালে এশিয়া কাপ উপলক্ষে ফ্লাডলাইট স্থাপিত হয়েছে। কিছু দিন আগেই ক্লাব কাপ হকি হয়েছে ফ্লাডলাইটে৷ কালকের ম্যাচের কিছু অংশ কেন ফ্লাডলাইটে হয়নি এর উত্তরে লিগ কমিটির সম্পাদক বলেন, 'সূচি অনুযায়ী খেলা ফ্লাডলাইটে গড়ানোর কথা নয়৷ আগের ম্যাচে (অ্যাজাক্স-পুলিশ) ২-৩ টি সিদ্ধান্ত নিয়ে অতিরিক্ত সময় ক্ষেপণ হওয়ায় দ্বিতীয় ম্যাচ শুরু হয়েছে (হওয়ার কথা ৪ টায়) বেশ বিলম্বে। ফলে শেষ কোয়ার্টারে আলোর স্বল্পতা দেখা দেয়। শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় ফ্লাডলাইট অপারেটর বাইরে ছিলেন।'

ক্রিকেটে নির্দিষ্ট ওভার খেলা হলে ফলাফল নিষ্পত্তি সম্ভব। হকি ও ফুটবলে সম্পূর্ণ সময় শেষ হওয়া আবশ্যক ৷ ঢাকা হকি লিগে নানা কারণেই এক দিনের খেলা পরের দিন হয়েছে। এমন নজির রয়েছে কয়েক বছর আগেই। সেটা না করে পয়েন্ট ভাগাভাগির সিদ্ধান্তের কারণ সম্পর্কে লিগ কমিটির সম্পাদকের ব্যাখ্যা , 'আমরা পরের দিন সকাল ৯ টা বা ১১ টার দিকে বাকি কয়েক মিনিট খেলার কথা বলেছিলাম। দুই দল আবার মাঠে নামতে রাজি নয়৷ উভয় ড্র চায়।'

আইন অনুযায়ী ক্লাবের সম্মতিতে পয়েন্ট ভাগাভাগি করা যায় না৷ দুই দলের সমঝোতার এক পয়েন্টে রেলিগেশন ও সুপার সিক্সে প্রভাব পড়তে পারে ব্যাপক। হকি সংশ্লিষ্টদের ধারণা, এই এক পয়েন্ট আজাদ স্পোর্টিংকে রেলিগেশন এড়াতে খানিকটা এগিয়ে রাখবে। অন্য দিকে বাংলাদেশ স্পোর্টিং রয়েছে সুপার সিক্সের লড়াইয়ে৷  

ঢাকা হকি লিগে নিয়ম কানুন কাগজে-কলমে। খেলার ফলাফল ও ম্যাচের সিদ্ধান্তের সম্পুর্ন এখতিয়ার আম্পায়ারদের। আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত গৌণ হয়ে ফেডারেশন কর্তারা ত্রাতার ভুমিকায় নামেন অনেক ক্ষেত্রে। ক্লাবগুলোর অসহযোগিতায় কখনো হয় বিদ্রোহ আবার কখনো আবার 'অযৌক্তিক' পয়েন্ট ভাগাভাগি। 

এজেড/এইচজেএস