সাধারণ সম্পাদক বিতর্ক হকি ফেডারেশনে নতুন কিছু নয়। নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক একে এম মুমিনুল সাঈদ ক্যাসিনো কাণ্ডের জন্য পলাতক। প্রায় দেড় বছর প্রথম যুগ্ম সম্পাদক মোঃ ইউসুফ ভারপ্রাপ্তের দায়িত্বে রয়েছেন। আসন্ন প্রিমিয়ার লিগের আগে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের অধীনে খেলতে আস্থা পাচ্ছে না সাতটি ক্লাব। তারা আজ (রোববার) এই বিষয়ে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের অভিভাবক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ আহসান রাসেলকে চিঠি দিয়েছেন।

ঢাকা আবাহনী, মোহামেডান, অ্যাজাক্স, ঢাকা ওয়ারী, আজাদ স্পোর্টিং, বাংলাদেশ স্পোর্টিং ও ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবের কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর রয়েছে এই চিঠিতে। সাত কর্মকর্তার মধ্যে দুই জন বর্তমান কমিটিতেই রয়েছেন। ঢাকা আবাহনীর জাকি আহমেদ রিপন এই কমিটির সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ স্পোর্টিংয়ের হুমায়ন আবার কোষাধ্যক্ষ। নিজেদের কমিটির কর্মকর্তার ওপরই তারা আস্থা পাচ্ছেন না। চিঠির স্বাক্ষরিত বাকি ব্যক্তিবর্গের মধ্যে অনেকে গত নির্বাচনে হেরে যাওয়া প্রার্থী এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের বিপরীত প্যানেলের।

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর কাছে দেওয়া চিঠিতে তারা উল্লেখ করেছেন, প্রধানমন্ত্রী হকির উন্নয়নের জন্য এক কোটি টাকা দিয়েছেন। দেশের অন্য সব খেলা চললেও দুই বছরের বেশি সময় হকি লিগ ও অন্যান্য টুর্নামেন্ট স্থবির। বর্তমান কমিটি ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের অধীনে সক্রিয় নয়। এই ব্যাপারে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা।

সাত ক্লাবের এই চিঠি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী কতটুকু গুরুত্ব দেন সেটার উত্তর সময় বলবে। তবে হকি ফেডারেশনের নতুন সভাপতি দায়িত্ব নেবেন এবং সামনে প্রিমিয়ার লিগ এর আগে একটি পক্ষ সক্রিয় হয়ে এই উদ্যোগ নিয়েছে বলে ধারণা হকি সংশ্লিষ্টদের।

এজেড/এমএইচ