কিছু দিন আগে ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়ে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক পাকিস্তানি কোচ নাভিদ আলমের। এরপর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। আজ (মঙ্গলবার) দুপুরের পর তিনি পাকিস্তানে হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। নাভিদ আলমের ছেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পাকিস্তান হকির অন্যতম কিংবদন্তি শাহবাজ আহমেদও নাভিদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এই প্রতিবেদককে।
 
নাভিদ আলমের মৃত্যুতে বাংলাদেশের হকিতে নেমেছে শোকের ছায়া। গত দুই দশকের বেশি সময় বাংলাদেশের হকিতে বেশ সম্পৃক্ত ছিলেন নাভিদ। নব্বইয়ের দশকে উষা ক্রীড়া চক্রে খেলেছেন। পরবর্তী সময়ে কোচ হিসেবে এসেছেন বাংলাদেশে। ২০১৩ সালে তিনি বাংলাদেশ হকি দলের কোচ হন। নাভিদের মুখে সব সময় হাসি লেগেই থাকতো। সবার সঙ্গেই করতেন মিষ্টি ব্যবহার।
 
নাভিদের আকস্মিক চলে যাওয়ায় বাংলাদেশ হকির অনেকেই ব্যথিত। বাংলাদেশে নাভিদের সবচেয়ে কাছের বন্ধু ছিলেন সাবেক তারকা খেলোয়াড় ও বর্তমান হকি ফেডারেশনের সদস্য রফিকুল ইসলাম কামাল, ‘কিছুক্ষণ আগে শোনলাম। খুবই খারাপ লাগছে। আমি একজন বন্ধু হারালাম। বাংলাদেশ হকিও একজন শুভাকাঙ্ক্ষী হারাল। এত দ্রুত নাভিদ ভাই চলে যাবেন ভাবতেই পারিনি।’ শুধু কামাল নয় নাভিদের সাথে বাংলাদেশ হকি সংশ্লিষ্টদের অনেক স্মৃতি।
 
নাভিদ আলম নিজেও বড় মাপের খেলোয়াড় ছিলেন। পাকিস্তান জাতীয় দলে খেলেছেন একটানা বেশ কয়েক বছর। দেশের হয়ে বিশ্বকাপ হকি ও অলিম্পিকে অংশ নেন। পাকিস্তান অলিম্পিক জয়ী দলের সদস্য। তাই নিজেকে অলিম্পিয়ান নাভিদ আলম হিসেবে পরিচয় দিতে গর্বিত বোধ করতেন। হকি থেকে অবসর নেওয়ার পর কোচিংয়ে যুক্ত হন। বাংলাদেশ ছাড়াও পাকিস্তানেও কোচিং করিয়েছেন। পাকিস্তান হকি ফেডারেশনের ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যানও ছিলেন। হকি ছাড়াও ব্যাংকার হিসেবেও কর্মরত ছিলেন।  

এজেড/এমএইচ/এটি