রাসেল মাহমুদ জিমি/ফাইল ছবি

তিন বছর পর শুরু হচ্ছে হকির দলবদল। গত কয়েক বছরে প্রিমিয়ার লিগের হকির দলবদল মানেই জিমি-চয়নকে নিয়ে আকর্ষণ। চয়ন ২০১৮ সালে জাতীয় দল থেকে অবসর নেয়ায় এখন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে জিমিই। দেশের গত এক দশকের হকির সুপারস্টার  জিমি সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা মোহামেডানেই খেলেছেন। আসন্ন মৌসুমে মোহামেডানেই খেলবেন জাতীয় দলের তারকা এই স্ট্রাইকার। 

দেশের তারকা হকি খেলোয়াড় জিমি বলেন, ‘আসন্ন লিগে আমি মোহামেডানেই খেলব। মোহামেডান অনেকটা নিজের ক্লাব বা ঘরের মতোই হয়ে গেছে।’ মোহামেডানকে নিজের ক্লাব হিসেবে দেখায় দেনা-পাওনা নিয়ে কোনো সমস্যা হয় না দুই পক্ষের মধ্যে। আর্থিক বিষয়ে জিমি বলেন, ‘ক্লাব আমাকে সব সময় সর্বোচ্চ সম্মান দেয়ার চেষ্টা করে। আমিও মাঠে ক্লাবকে নিজের সেরাটা দেই সব সময়।  আর্থিক বিষয়ে আমাদের মধ্যে কখনো বাঁধে না।’

আসন্ন প্রিমিয়ার হকি লিগে বাহিনী, সার্ভিসেস দল থেকে পাচ জন খেলোয়াড়কে দলভুক্ত করতে পারবে প্রতিটি ক্লাব। ইতোমধ্যে জিমি সহ অন্য খেলোয়াড়দের একটি প্রাথমিক তালিকা চূড়ান্ত করেছে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। সারোয়ার, কৌশিক, আশরাফুলের মতো তারকা খেলোয়াড়দের সঙ্গে সাদা কালোদের কথাবার্তা প্রায় চুড়ান্ত। কিছু দিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে। বাহিনীতে কর্মরত গোলরক্ষকরা এই পুলের বাইরে রাখতে চিঠি দেয়ার কথা। 

ফুটবল, ক্রিকেটে সাফল্য না পেলেও সর্বশেষ হকি লিগে মোহামেডান চ্যাম্পিয়ন। মোহামেডানের হকি কমিটির চেয়ারম্যান মনোনীত হয়েছেন ক্লাবের সাবেক ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান ও বর্তমান পরিচালক মন্জুরুল আলম মঞ্জু। তিনি মোহামেডানের হকির শিরোপা বজায় রাখার ব্যাপারে আশাবাদী, ‘মোহামেডানের অগণিত সমর্থক ক্লাবের সাফল্য চায়। সেই সাফল্য আমাদের ফুটবল, ক্রিকেটে না থাকলেও হকিতে রয়েছে। আমরা এবার সেরা দল গড়তে যাচ্ছি। আশা করি সমর্থকরা শিরোপা উল্লাস করতে পারবে।’

মোহামেডান ক্লাব নতুন পরিচালনা পর্ষদ আসার পর নতুন উদ্দ্যমে সাদা কালোদের কার্যক্রম চললেও হকি কমিটি নিয়ে রয়েছে কিছুটা জটিলতা। ক্লাবের পরিচালনা পর্ষদ হকি কমিটির সম্পাদক হিসেবে মনোনীত করেছিলেন সাবেক হকি খেলোয়াড় ও মোহামেডানের পুরনো সংগঠক সাজেদ এএ আদেলকে। পরিচালনা পর্ষদের বাইরে হকির সম্পৃক্ত আরেকটি পক্ষ আবার এই সম্পাদকের বিপক্ষে। ২০১৮ সালে সর্বশেষ লিগে চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলের ব্যবস্থাপনায় যুক্ত কাউকে রাখেননি সম্পাদক সাজেদ এ এ আদেল। 

হকি কমিটির সম্পাদক পদ নিয়ে কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি মূলত ফুটবলের লোক। সভাপতি ও পরিচালনা পর্ষদ আমাকে হকি কমিটির চেয়ারম্যান মনোনীত করেছে। আমি ক্লাবের হকির সাথে সম্পৃক্ত সবার পরামর্শ ও মতামত নিয়ে সেরা দল গড়ার প্রচেষ্টা করছি। কমিটির চেয়ারম্যান, সম্পাদক কে থাকবে না থাকবে সেটা সম্পুর্নভাবে সভাপতি এবং পরিচালনা পর্ষদের এখতিয়ার। সবাই মোহামেডানকে ভালোবাসে, কে কোন পদে এটা সেরা দল গড়ার ক্ষেত্রে কোন অন্তরায় নয়।’

ক্লাবের ফুটবল ও ক্রিকেট কমিটি পুর্নাঙ্গ হলেও হকি কমিটির শুধু  চেয়ারম্যান ও সম্পাদক ঘোষিত হয়েছে। হকির দলবদল কর্মকাণ্ড শুরু হলেও এখনো পুর্নাঙ্গ কমিটি ঘোঘণা হয়নি অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জন্য। পরিচালনা পর্ষদের মনোনীত হকি সম্পাদকের পরিবর্তন আসলে নতুন পরিচালনা পর্ষদ প্রশ্নের মুখোমুখি হবে। 

এজেড/এটি/এনইউ