জাপানের বিপক্ষে বড় হার বাংলাদেশের
এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হকির প্রস্তুতিমূলক ম্যাচে জাপানের বিপক্ষে ৪-১ গোলের ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ। আজ (শুক্রবার) বিকেল ৫টায় মওলানা ভাসানী জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় ম্যাচটি।
ম্যাচ হারলেও অখুশি নন বাংলাদেশের কোচ গোবিনাথান কৃষ্ণমূর্তি। তিনি বলেন, ‘জাপান আমাদের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। এশিয়ান গেমসে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রেকর্ড রয়েছে। জাপানের বিপক্ষে ম্যাচের গতি-প্রকৃতি বুঝতে শুরুতে ছেলেদের কিছুটা সময় লেগেছে। ম্যাচের সময় যত গড়িয়েছে ততই আমরা ওদের খেলার ধরণ বুঝে নিজেদের পরিকল্পনা মতো এগিয়েছি। জাপান এই টুর্নামেন্টের অংশ নেওয়ার আগে অনেক ম্যাচ খেলেছে। সেখানে আমাদের দল দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক ম্যাচের বাইরে। তারপরও আজ ছেলেরা যা খেলেছে তাতে আমি অখুশি না।’
বিজ্ঞাপন
প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হকিতে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ। যেখানে এই আসরে পূর্বে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে জাপানের। এমনকি ২০১৩ সালে টুর্নামেন্টের তৃতীয় আসরে রানার্স আপ হওয়ার কীর্তিও আছে তাদের। শক্তিমত্তা ও র্যাংকিং দুইয়ের বিচারে স্বাগতিক বাংলাদেশের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে জাপান।
টুর্নামেন্টে নিজের প্রত্যাশা জানিয়ে গোবিনাথান বলেন, টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া প্রতিটি দলই শক্তিশালী। আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ নিজেদের পরিকল্পনা করে এগিয়ে যাবো। জাপানের বিপক্ষে আজ প্রথম কোয়ার্টারেই পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ম্যাচের ৫, ১০ এবং ১১ মিনিটে তিন গোল করে নিজেদের শক্তির জানান দেন আকারি তাকাহাসির দল।
বিজ্ঞাপন
তিন গোলে পিছিয়ে পড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতে থাকে গোবিনাথান কৃষ্ণমূতির দল। প্রথম কোয়ার্টারে ৩-০তে পিছিয়ে থেকে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের কিছুটা গুছিয়ে নিয়ে লড়াইয়ে নামে দল। এই কোয়ার্টারে জাপানের কাছ থেকে একটা পেনাল্টি কর্নারও আদায় করে নেয়। তবে সেটা হিট করতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশের খেলোয়াড়। স্বাগতিকরা ভুল করলেও জাপান দ্বিতীয় কোয়ার্টারে ম্যাচে তাদের চতুর্থ ও শেষ গোলটি তুলে নেয়।
তৃতীয় কোয়ার্টারে দারুণ খেলেন জিমিরা। রক্ষণভাগ সামলে আক্রমণের ছক কষে দল। তাতে সফলও হয়। পিসি থেকে গোল করে ব্যবধান ৪-১- এ নিয়ে যান খোরশেদুর রহমান। এই কোয়ার্টারে জাপান তিনটি পিসি পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি। ম্যাচটি চতুর্থ কোয়ার্টারে গড়ানোর আগে খেলা শেষের বাঁশি বাজান আম্পায়াররা।
এজেড/এমএইচ