শুরুর এ উল্লাস শেষে আর থাকেনি বাংলাদেশের, আশরাফুলরা মাঠ ছাড়েন হারের বিষাদ নিয়ে/বাহফে

প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই দুঃস্মৃতিকে দারুণভাবে পেছনে ফেলার দারুণ ইঙ্গিতই দিচ্ছিলেন জিমি-আশরাফুলরা। শুরুতে এগিয়ে গিয়ে আশা দেখাচ্ছিলেন দারুণ এক জয়ের। তবু দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে পয়েন্ট ছাড়া, স্বপ্নভঙ্গের বেদনা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে।

আশরাফুলরা এক গোলের লিড নিয়ে শেষ পর্যন্ত ৩-২ ব্যবধানে হারে। কোরিয়ার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ১ পয়েন্ট পেলেও হকির ইতিহাসে দারুণ এক অর্জনই হতো। 

৪৮ মিনিট পর্যন্ত ১-১ স্কোরলাইন ছিল। ৪৮-৫৪ মিনিটের মধ্যে দুই গোল হজম করে বাংলাদেশের পয়েন্ট পাওয়ার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। ৫৮ মিনিটে ইমন গোল করলেও বাংলাদেশের পরাজয়ের ব্যবধানটাই কমেছে কেবল। কোরিয়ার এটি টুর্নামেন্টের তৃতীয় ম্যাচ। আগের দুই ম্যাচে তারা ভারত ও জাপানের বিরুদ্ধে ড্র করেছিল। বাংলাদেশের এটি ছিল দ্বিতীয় ম্যাচ। প্রথম ম্যাচে ভারতের বিরুদ্ধে ০-৯ গোলে হেরেছিল। আশরাফুলদের পরবর্তী ম্যাচ আগামীকাল জাপানের বিপক্ষে। 

আট মিনিটে বাংলাদেশ লিড নেয়। ফজলে রাব্বির বাড়ানো লম্বা পাসে আরশাদ হোসেন বক্সের মধ্যে স্টিক ছোঁয়ান। বল জালে জড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে স্টেডিয়ামে আনন্দের জোয়ার খেলে যায় যেন। এশিয়া তো বটেই বিশ্ব হকির অন্যতম শীর্ষ দল দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে আশরাফুলরা লিড নেণ। কোরিয়া অবশ্য প্রথম কোয়ার্টারেই ম্যাচে সমতা আনে। বাংলাদেশের রক্ষণভাগ ও গোলরক্ষক কোরিয়ার আক্রমণভাগের নিশ্চিত গোল রুখতে গিয়ে পেনাল্টি স্ট্রোক উপহার দেয়। স্ট্রোক থেকে ম্যাচে সমতা আনে কোরিয়া। 

দ্বিতীয় ও তৃতীয় কোয়ার্টারে কোন দলই গোল করতে পারেনি। কোরিয়া চারটি পেনাল্টি কর্নার পেলেও বাংলাদেশ দারুণভাবে প্রতিহত করেছে। বাংলাদেশ দ্বিতীয় ও তৃতীয় কোয়ার্টারে তেমন আক্রমণ করতে পারেনি। রক্ষণেই বেশি সময় কাটিয়েছে। মাঝে ৪৮ থেকে ৫৪ মিনিটের দুই গোল হজম করে বসে দল। ৫৮ মিনিটে ইমনের ফিল্ড গোলে আশা জাগালেও শেষরক্ষা আর হয়নি। শুরুর উচ্ছ্বাস তাই শেষ হয় স্বপ্নভঙ্গের বেদনা দিয়েই।

এজেড/এনইউ