এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির চার ম্যাচে বাংলাদেশ ২৪ গোল হজম করেছে। এর বিপরীতে মাত্র চার গোল করেছে। এই চার গোলের তিন গোলই আরশাদ হোসেনের। আজ (রোববার) টুর্নামেন্টে নিজেদের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে জোড়া গোল করেছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে করেছিলেন এক গোল। 

পাকিস্তানের সঙ্গে জোড়া গোলের পর আরশাদ বলেন, ‘জোড়া গোল করেছি ভালো লাগছে। আরো ভালো লাগত যদি আমরা ম্যাচটি জিততে পারতাম।’ আরশাদের গোলে বাংলাদেশ ম্যাচে লিড নিয়েছিল। এগিয়ে থাকার পরও বড় ব্যবধানে হেরে তারা মাঠ ছেড়েছে। 

এর কারণ সম্পর্কে জোড়া গোলদাতা বলেন, ‘আমরা প্রায় ৪০ মাস আন্তর্জাতিক ম্যাচের বাইরে ছিলাম। ওইখানে আমাদের অনেক ঘাটতি আছে। তাছাড়া পাকিস্তান আমাদের চেয়ে অনেক ভালো। র‌্যাঙ্কিংয়েও আমাদের চেয়ে এগিয়ে। আশাকরি ভবিষ্যতে আমরা ভালো কিছু করব।’

হকিতে গোলের অন্যতম উৎস পেনাল্টি কর্নার। এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের চারটি গোলের চারটিই ফিল্ড গোল। পেনাল্টি কর্নার থেকে গোলে রুপান্তর না করার সমস্যা সম্পর্কে আরশাদ বলেন, ‘পুশে আমাদের দুর্বলতা ছিল। আমরা চেষ্টা করেছি।’

কোরিয়ার সাথে বাংলাদেশ দুর্দান্ত লড়েছিল। পরের দুই ম্যাচে আর সেই বাংলাদেশকে দেখা যায়নি। এর কারণ সম্পর্কে আরশাদ বলেন, ‘টানা ম্যাচ খেলায় আমরা অভ্যস্ত নই। কোরিয়া, জাপান অনেক শক্তিশালী দল। আমরা চেষ্টা করেছি, হয়নি। ইনশাল্লাহ ভবিষ্যতে হবে।’

বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচের ম্যাচ সেরা হয়েছেন এজাজ আহমেদ। ম্যাচ সেরা হয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের দল ম্যাচ বাই ম্যাচ উন্নতি করছে। দলে অনেক তরুণ খেলোয়াড় আছে; যারা প্রথমবারের মতো এত বড় আসরে খেলছে। প্রথম ম্যাচে চেয়ে পরের ম্যাচে- এভাবে ম্যাচ যত এগুচ্ছে ছেলেরা ততই ভালো খেলছে। দলে জুনিয়য-সিনিয়রদের কম্বিনেশনটাও চোখে পড়ার মতো।’

এজেড/এমএইচ