জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের জিমনেশিয়াম। তিন ফেডারেশন এই ভেন্যুর দাবিদার/ফাইল ছবি

চলতি বছর কয়েকটি আর্ন্তজাতিক গেমসের আসর। এই গেমসগুলোকে সামনে রেখে ১ মার্চ থেকে অনুশীলন শুরু হতে যাচ্ছে। এই উপলক্ষ্যে আজ রোববার বিওএতে ট্রেনিং এন্ড ডেভলপমেন্ট কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

সভা শেষে বিওএ’র কোষাধ্যক্ষ ও ট্রেনিং-ডেভলপমেন্ট কমিটি সদস্য সচিব একে সরকার বলেন, ‘১ মার্চ থেকে আসন্ন গেমসগুলোর অনুশীলন শুরু হবে। ১ মার্চ থেকে আমরা ব্যক্তিগত ডিসিপ্লিনগুলো চলবে। দাবা, ব্রিজ, গলফ এই ডিসিপ্লিনগুলো যেহেতু এশিয়ান গেমসে শুধু। এই ডিসিপ্লিনগুলোর অনুশীলন জুন থেকে করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’ 

জিমন্যাস্টিক্স, তায়কোয়ান্দো ও কুস্তি। এই তিন ডিসিপ্লিনই ব্যক্তিগত ইভেন্ট রয়েছে। তিন ডিসিপ্লিনই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের জিমনশিয়াম ব্যবহার করে অনুশীলনের জন্য। আসন্ন গেমসগুলোর প্রস্তুতির জন্য এই তিন ভেন্যুর অনুশীলনের স্থান ও সমন্বয় নিয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে একে সরকার বলেন, ‘জিমন্যাস্টিক্সের সভাপতি (শেখ বশির আহমেদ মামুন) দেশের বাইরে। শিগগিরই আসার কথা তার। তিনি এলে তিন ডিসিপ্লিন এক সঙ্গে বসে আলোচনা করে একটি সিদ্ধান্ত আসবে।’

জিমন্যাস্টিক্সের অনুশীলনে সরঞ্জাম বেশি ব্যবহৃত হয়। জিমন্যাস্টিক্স জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে তাদের সরঞ্জাম স্থাপন করলে কুস্তি ও তায়কোয়ান্দোর জন্য অনুশীলনে ব্যাঘাত ঘটবে। অন্য দিকে কুস্তি ও তায়কোয়ান্দো অনুশীলন করলে জিমন্যাস্টিক্স অনুশীলনের সুযোগ পাবে না। কুস্তি ও তায়কোয়ান্দো অন্য ভেন্যুতে সাময়িক অনুশীলন করার সুযোগ থাকলেও জিমন্যাস্টিক্সের বিকেএসপি ও মিরপুর ইনডোর ছাড়া তেমন সুযোগ নেই। 

আন্তর্জাতিক গেমসকে সামনে রেখে অন্যান্য দেশ যখন পদক লড়াই ও পারফরম্যান্স নিয়ে ভাবনায় সেখানে বাংলাদেশের ফেডারেশনগুলো অনুশীলন ভেন্যু নিয়ে সংকটে। স্বাধীনতার অর্ধ শতাব্দীর পরও জাতীয় ফেডারেশনগুলোর এই ভেন্যু সংকট ক্রীড়াঙ্গনের জন্য দুঃখজনকই বটে।

আজকের ট্রেনিং কমিটির সভায় কয়েকটি ফেডারেশন বিদেশি কোচের জন্য বিওএ’র কাছে আর্থিক সহযোগিতা চেয়েছিল। বিওএ আসন্ন গেমসগুলোর চেয়ে এসএ গেমসের আগে বিদেশি কোচদের জন্য আর্থিক সাহায্য করার মনোভাব ব্যক্ত করেছে। 

এজেড/এটি/এনইউ